সৌগত মন্ডল
বীরভূম-সি
বর্তমান সময়ে টোটোর নাম শোনেননি এমন কেউ নেই।বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজের গন্তব্যস্থলে যাওয়ার জন্য একমাত্র ভরসা এখন বর্তমানে টোটো।আর যুব সমাজের মধ্যে এই টোটো চালিয়ে উপার্জনের একটি মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে।তবে দেখতে অনেকটা টোটোর মতন না হলেও,সেটি যদি হয় টোটো সামগ্রী দিয়ে তৈরি আস্ত একটি গাড়ি! তাহলে কেমন হয় আপনাদের। শুনতে অবাক লাগছে আপনাদের নিশ্চয়ই!তবে অবাক হওয়ার কিছু নেই এমনই করে দেখিয়েছেন বীরভূমের এক গ্রিল মিস্ত্রি জয়নাল সেখ।
তবে একটি টোটোর সামগ্রী দিয়ে কিভাবে একটি চারচাকা গাড়ি তৈরি করলেন গ্রিল মিস্ত্রি শেখ জয়নাল! এই বিষয়ে তিনি আমাদের জানান”তার তৈরি এই গাড়িটি পুরো ব্যাটারিতে চলে এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি এই গাড়িটি বানিয়েছেন”। টোটোর পাশাপাশি আরও তিনটি গাড়ির যন্ত্রাংশ দিয়ে তিনি এই গাড়িটি বানিয়েছেন।সারাদিন নিজের একান্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার পরেও বাড়ি ফিরে মাঝরাত পর্যন্ত তিনি এই গাড়িটি মাত্র ১০ মাসের মধ্যে বানিয়ে ফেলেছেন। দীর্ঘ প্রায় দশ মাসের পরিশ্রমের পর বানিয়ে ফেলা এই গাড়ি নজর কেড়েছে সকলের।
তবে একটি টোটো গাড়ি ১লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। তবে সেই টোটো গাড়ি বদলিয়ে তিনি কেন এই চার চাকা গাড়ি তৈরি করলেন? যার জন্য তার খরচা পড়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এত পরিমাণ টাকা খরচা করে তিনি কেন এই গাড়িটি বানালেন!এই বিষয়ে তিনি আমাদের জানান বীরভূমের সদর শহর সিউড়ি।আর এই সিউড়ি শহরের আনাচে-কানাচে ছোট ছোট গলি রয়েছে।সেই গলির মধ্যে প্রয়োজনের সময় চারচাকা গাড়ি ঢুকতে সমস্যায় পড়ে।তবে তার এই সুসজ্জিত গাড়িটি যে কোন ছোট গলিতে অনায়াসেই ঢুকতে পারে।আর এই সুসজ্জিত গাড়ি দেখে অনেকে বিয়ের জন্য থেকে শুরু করে নিজেদের পারিবারিক যে কোন অনুষ্ঠান যেমন জন্মদিন থেকে শুরু করে অন্নপ্রাশন,উপনয়ন বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার জন্য অগ্রিম বুকিং করে থাকেন।
শেখ জয়নাল আগে নিজের এলাকার গ্রিল মিস্ত্রি হলেও এখন বর্তমানে সিউড়ি সদর হাসপাতালে বিভিন্ন ধরনের গ্রিলের কাজ করে থাকেন।এর আগে তার একটি নিজের গ্রিলের দোকান ছিল তবে বিভিন্ন কারণবশত তিনি সেই গ্রিলের দোকান বন্ধ করে দেন। বর্তমানে তিনি সিউড়ি সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত।সিউড়ি সদর হাসপাতালে সারাদিন নিজে কর্তব্য পালন করবার পরে রাত্রিবেলায় খাওয়া-দাওয়া করে তিনি এই টোটো গাড়িটিকে বানিয়েছেন আস্ত একটি চার চাকা গাড়িতে। তার নিজের হাতের তৈরি এই গাড়িটির নাম দিয়েছেন “মিনি থার”।