জয়িতা বিশ্বাস :- দমদম – কলকাতা:- বাঙালীর কাছে বিশ্বকর্মা পুজো মানেই ঘুড়ি ওড়ানোর দিন । এই দিনে কে ঘুড়ি ওড়ায় না ? প্রতি বছর কন্যাসংক্রান্তিতে বা ভাদ্রমাসের শেষ দিনে ইংরেজির সেপ্টেম্বর মাসের ১৬ কিংবা ১৭ তারিখে এই পুজো অনুষ্ঠিত হয় । কথিত আছে যে দেবতা কৃষ্ণের রাজধানী দ্বারকা শহর , রামায়নে উল্লিখিত লঙ্কা নগরী বিশ্বকর্মা ঠাকুর স্বয়ং নির্মাণ করেছিলেন । এছাড়ও বিভিন্ন দেবতাদের অস্ত্র , বাহন , রথের ও নির্মাতা তিনি । লোকমুখে এ ও প্রচারিত আছে যে পুরীর বিখ্যাত জগন্নাথ দেবের মূর্তিরও নির্মাতা ছিলেন স্বয়ং বিশ্বকর্মা ঠাকুর ।
বিশ্বকর্মা হলেন শিল্পের দেবতা , সমস্ত শিল্পের সৃষ্টিকর্তা তিনি । এই পুজো মূলত কারখানা , শিল্প প্রতিষ্ঠান , ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয় । কেবল প্রকৌশলী বা স্থপতি সম্প্রদায় নয় , সব ধরণের কারিগর , কামার-কুমোর , মিস্ত্রি , স্বর্ণকার , শিল্প কর্মী , কারখানার শ্রমিক, ঢালাইকর, দর্জি, গাড়ির চালক সহ অনেক ধরনের পেশার মানুষ বিশ্বকর্মা পুজো করেন। তারা তাদের ভবিষ্যতের উন্নতির জন্য , নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করেন ।
কখনো কখোনো কারিগররা তাদের সমস্ত যন্ত্রপাতি বিশ্বকর্মা ঠাকুরের কাছে সমর্পিত করেন এবং ওই সময়ে সেইসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেন না । পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ভারতের আসাম , উত্তরপ্রদেশ , কর্ণাটক , বিহার , ঝাড়খণ্ড সহ ওড়িশা এবং ত্রিপুরাতেও এই পুজো অনুষ্ঠিত হয় , এমনকি ভারতের প্রতিবেশী দেশ নেপাল এবং বাংলাদেশে ও এই পুজোর চল আছে ।
বিশ্বকর্মা পুজোর ইতিকথা
MORE NEWS -বীরভূম জেলা পুলিশের উদ্যোগে বিশ্বকর্মা পুজো শুভ উদ্বোধন
পরিবহন বিভাগ বীরভূম জেলা পুলিশের উদ্যোগে বিশ্বকর্মা পূজার শুভ উদ্বোধন করেন বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী মহাশয় । উপস্থিত ছিলেন বোলপুর সহ পুলিশ সুপার মহাশয় সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকবৃন্দ।প্রথমেই ফিতে কেটে মন্দিরের শুভ দারোঘাটন করেন পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী মহাশয় । প্রদীপ জ্বালিয়ে, এবং পুষ্প দিয়ে বিশ্বকর্মার আরাধনা করলেন পুলিশ সুপার মহাশয় । পরে মঞ্চে অতিথিবৃন্দ আসন গ্রহণ করেন । অতিথিদের বরণ করা হয় পুষ্পস্তবক ও উত্তরীয় দিয়ে । তারপর উপস্থিত বেশ কিছু মানুষের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করা হয় । এবং উপস্থিত শিশুদের চকলেট ও মিষ্টি বিতরণ করা হয় । CONTINUE READING