নিজস্ব সংবাদদাতা, মুরারই-বীরভূম:
সম্প্রতি বীরভূম মুরারই বঠিয়া গ্ৰাম ,এলাকায় সমাজসেবী সংগঠন স্বর্ণদীপ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট শুরু করলো ১টাকার পাঠশালা।যেখানে প্রতিটি ছাত্র ছাত্রী কে মাসিক বেতন বাবদ ১ টাকা করে দিতে হবে।
শিশু শ্রেণী থেকে ক্লাস ফোর পর্যন্ত পঠনপাঠন দেওয়া হবে।
তবে পরে ক্লাস বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা মাথায় রেখেছেন স্বর্ণদীপ টিম।
প্রতিটি শিশুর জন্য আলাদা আলাদা বই,খাতা,পেনসিল ব্যাগ এমন কি স্কুলের পোশাকও দেওয়া হবে ১টাকার পাঠশালার তরফ থেকে।
বর্তমানে বীরভূম এলাকায় ১ টাকার পাঠশালায় ৩০ জন ছাত্র ছাত্রী নিয়ে পথচলা শুরু করেছেন আজ থেকে।
ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ১ টাকার পাঠশালায় পঠনপাঠন চলবে।প্রতিদিনই দায়িত্বে থাকবেন 4 জন শিক্ষক শিক্ষিকা।
উল্লেখ্য বর্তমানে যখন ডিজিটাল ভারত,ডিজিটাল বাংলায় পাকা স্কুলে এবং অনলাইনে পঠন-পাঠনে ব্যস্ত, ঠিক সেই মুহূর্তে প্রত্যন্ত প্রান্তিক গ্রামের শিশুরা খেলায় মত্ত।তাদের পরিবারের আর্থিক অনটনের জন্য একবেলা পেটের খাবার জোগাড় করা দায়।সেখানে স্কুলে ভর্তি কিংবা পড়াশোনা ব্যাপারটা নিছক বাহুলতা।স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্বর্ণদীপ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট বিগত দিনে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তে সমাজসেবামূলক কাজ করেছে।
প্রান্তিক গ্রামের কিছু মানুষের কাছে এমন অভিনব উপদেশ পেয়ে পরিকল্পনা শুরু করে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য শ্রীকান্ত বধুক,ঝর্ণা মন্ডল , মায়া মাল, সোমা ,শম্পা সুনিতা ,নিউটন , শ্রীমন্ত নির্মল ,সঞ্জয় ও সুবীর সর্বপরি টিমের সকল কর্তৃপক্ষ আলোচনার মাধ্যমেই বীরভূম এলাকায় শুরু হয় স্বপ্নের ১টাকার পাঠাশালা।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এমন উদ্যোগ গ্রহণ করায় এলাকার মানুষজন প্রশংসা করেছেন। তাদের বক্তব্য এই প্রথম এখানে ১টাকার পাঠশালা চালু হলো
এটা জেন কোন ভাবেই বন্ধ না হয়ে যায়।
অন্যদিকে স্বর্ণদীপ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এর অন্যতম সদস্যা ঝর্ণা মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘শিশুরা আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।তারা যদি নিরক্ষর থাকে আমাদের তথা দেশের ক্ষতি। যারফলে অসহায়,দরিদ্র পরিবারের শিশুরা যাতে করে শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারে তার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।আগামী দিনে বীরভূমের প্রত্যন্ত প্রান্তিক এলাকায় আরো ১টাকার পাঠশালা তৈরি করা হবে শিশুদের কথা মাথায় রেখে। ’