না না, তার আসল নাম মোটেই পদ্মাবতী নয়, ওটা তার ফেসবুক নাম। আসল কথা বলো তাঁর সুন্দর একটা নেশা আশ্চর্যভাবে পরিনত হয়েছে পেশায়। পদ্ম চাষ করে নাম তাঁর ‘পদ্মাবতী’। বাঁকুড়ার এই নারী পদ্ম চাষ করে তাক লাগিয়েছেন সমগ্র জেলাকে। আর সেই কারণেই পদ্মের পরিচিতিতে বিশেষ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন বাঁকুড়ার কানকাটার বাসিন্দা অঙ্কিতা রানা। বাড়ির ছাদে তিনি চাষ করেছেন ১৭০টি ভ্যারাইটির পদ্ম। এছাড়াও রয়েছে শাপলা। এর জন্য পদ্মাবতিকে পরিশ্রম করতে হয়েছে অনেক, আর সাফল্য এসেছে দ্রুত।
তিনি জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাদে পদ্ম চাষ দেখে তিনি অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের বাড়িতেই শুরু করেন সেই পদ্ম চাষ। এখন রয়েছে ১৭০টি পদ্ম। বাণিজ্যিকভাবেও বিক্রি করে থাকেন পদ্ম। প্রায় প্রতিটি নার্সারিতেই পৌঁছে যায় অঙ্কিতা রানা ওরফে পদ্মাবতীর পদ্ম। ১০০ থেকে দেড়শো টাকার মধ্যে তিনি বিক্রি করেন পদ্মগুলিকে। পদ্মের জন্য তার পরিচিতি এই কথাটা অকপটেই স্বীকার করেছেন তিনি।
এই চাষের বিশেষ এক পদ্ধতি তিনি নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, দুভাবে তিনি পদ্ম চাষ করেন। প্রথম পদ্ধতিতে তিন বছরের পুরনো মাটি নিয়ে, সেই মাটিতে খোল, ভার্মিকম্পোস্ট মিশিয়ে একটা মাটি প্রস্তুত করে করা হয়েছে পদ্ম চাষ। দ্বিতীয়ত লেয়ার পদ্ধতিতেও তিনি করেছেন এই ফুলের চাষ। তিন ইঞ্চি ভার্মি কম্পোস্টের উপর ছয় ইঞ্চি মাটি এবং খাবার হিসাবে ‘সি উইড’। এভাবেই যেন একটা পদ্মের বিপ্লব তৈরি করেছেন তার খোলা ছাদে। শুধু পদ্ম আর শাপলা। রয়েছে বড় বড় গামলা। গামলায় খেলা করছে ছোট ছোট মাছ। ফুটে রয়েছে পদ্ম এবং শাপলা। সেই অপরূপ ছাদ দেখতে প্রচুর মানুষের ভিড় হয়। অনেকেই তার থেকে ট্রেনিং নেওয়াও শুরু করেছে। পদ্মাবতী জানান, অনেকেই ভবিষ্যতে এটাকে লাভজনকে কৃষি হিসাবেও নিতে পারে।