Monday, November 11, 2024
Homeখবরকৃষি সংবাদ- বাঁকুড়ার রাহুল করের এ এক অন্য লড়াইয়ের গল্প

- Advertisment -

কৃষি সংবাদ- বাঁকুড়ার রাহুল করের এ এক অন্য লড়াইয়ের গল্প

 

বাঁকুড়ার খতরার রাহুল কর এম এ পাশ করে কোনো চাকরি পায় নি। এমনিতেই সে তার পারিবারিক চাষের সাথে যুক্ত ছিলেন। বছর দুই আগে বাড়ি লাগোয়া ১২ কাঠা জমিতে করলেন ড্রাগন ফলের চাষ। ফুলে ফলে ভরা ড্রাগনের এই বাগান দেখতে চারপাশের গ্রামের বাসিন্দারাও ভিড় জমাচ্ছেন শ্যামসুন্দরপুর গ্রামে। প্রথাগত চাষ ছেড়ে খামারবাড়িতে হঠাত কেন এই ড্রাগন ফলের চাষ? রাহুল কর বলেন, “জমিতে ধান বা সবজি চাষ করা হয়। কিন্তু বাড়ির পাশে খামারে ধান চাষ সম্ভব নয়। রুক্ষ জমিতে তাই বিকল্প ফসলের চাষ করার পরিকল্পনা নিয়েছি। এরসঙ্গে বিকল্প আয়ের খোঁজে তাই রুক্ষ জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ করার ঝুঁকি নিয়েছি।” সাফল্য পেয়েছে রাহুল। তিনি আরও বলেন, ‘‘ড্রাগন ফল চাষের খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট দেখেছি।” তিনি জানান তার পরেই ঝুঁকি নিয়ে তিনি শুরু করেন ড্রাগন চাষ।

১২ কাঠা জমিতে ড্রাগন চারা রোপন, সার, মজুরি, গাছের জন্য প্রয়োজনীয় খুঁটি বা পিলার লাগানোর জন্য ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ৩০০টি চারা লাগানো হয়েছে। প্রতিটি পিলারের চারিদিকে চারটি করে চারা লাগানো হয়েছে। গাছ লাগানোর প্রায় দেড় বছর পর থেকে ফলন শুরু হয়েছে। বছরে ৪-৫ বার ফল তোলা যায়। গত দুবছরে ড্রাগন ফল বিক্রি করে খরচের টাকা ওঠে গিয়েছে। তারপরে দ্বিতীয় বছর উৎপাদন অনেক বেড়ে গেছে। রাহুলকে দেখে গ্রামের অনেকেই এখন ড্রাগন চাষে উৎসাহ দেখাচ্ছেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Most Popular

Recent Comments