হ্যাঁ, গাছও বেশ কিছু শুভ ও অশুভ বার্তা বহন করে বলেই মনে করেন জ্যোতিষশাস্ত্র। এই সময় আমরা আমাদের প্রিয়জনকে অনেক সময় বিভিন্ন গাছ, মূলত ইন্ডোর প্ল্যান্ট উপহার হিসাবে দিয়ে থাকি। কিন্তু কোন সম্পর্কের নিরিখে কোন গাছ উপহার দেওয়া উচিত ও কোন গাছ উপহার দেওয়া উচিত নয়, তা আমাদের জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ।
আজকাল শহরাঞ্চলে ফ্ল্যাটবাড়িতে জায়গার অভাব। ফলে একফালি বারান্দা কিংবা ঘরের জানলায় একটুকরো সবুজের ছোঁয়া দিতে বেশিরভাগ মানুষই বিভিন্ন ধরনের গাছপালা রাখেন। ফলে বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের উপহার হিসেবে ছোট গাছপালা দেওয়ার প্রবণতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া পরিবেশের কথা মাথায় রেখেও একে অপরকে গাছ উপহার দিচ্ছেন অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতে বেশ কিছু সময় অজান্তে আমরা এমন গাছ উপহার দিই, যা ভুলেও কাউকে দেওয়া উচিত নয়। আসলে এই ধরনের গাছ উপহার দিলে সম্পর্কে তিক্ততা তৈরি হতে পারে। সেই বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বিভিন্ন জ্যোতিষী।
বাজারে গিয়ে ভালো লাগলো এমন একটা গাছ দেখেই না কিনে এনে সেই গাছ ঘরে রাখা উচিত কিনা তা আমাদের জেনে নেওয়া দরকার। জ্যোতিষাচার্যের মতে, ইতিবাচকতা যাতে বজায় থাকে, তার জন্য মানি প্ল্যান্ট বা শো প্ল্যান্ট দেওয়া যেতে পারে। একে অত্যন্ত শুভ বলে গণ্য করা হয়। যেসব গাছে সাদা ফুল ফোটে, সেগুলিকেও উপহারে দেওয়ার জন্য অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। আসলে এই ধরনের গাছ উপহার হিসেবে কাউকে দিলে তা সম্পর্ককে মজবুত করে এবং সম্পর্কের মধ্যে ভালবাসাও বাড়ায়।
জ্যোতিষীরা বলছেন, কাঁটাযুক্ত গাছ ভুল করেও কাউকে উপহার হিসেবে দেওয়া উচিত নয়। যেমন – গোলাপ কিংবা ক্যাকটাস গাছ কখনওই কাউকে উপহারে দেওয়া উচিত নয়। এটি সম্পর্কের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করে।
এমন কিছু গাছপালা আছে, যার পাতা থেকে দুধের মতো পদার্থ নিঃসৃত হয়, সেগুলিও উপহারে দেওয়া উচিত নয়। যেমন – কাঁঠাল গাছ। আসলে উপহার হিসেবে এই ধরনের গাছ অশুভ।জ্যোতিষাচার্যের মতে, উপহার হিসেবে তুলসি গাছকেই শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়। কেউ যদি তুলসি গাছ নিজের বন্ধুকে উপহার হিসেবে দেন, তাহলে উভয়ের মধ্যে সম্পর্কের মাধুর্য বৃদ্ধি পাবে। তাই গাছ নিজের ঘরে রাখুন আর বন্ধুকে উপহার দিন, দেবার আগে শুভাশুভ বিচার করেই দেওয়া উচিত।