আমাদের ব্যবহৃত অধিকাংশ সবজি কিন্তু পর্তুগিজ থেকে এসেছে। তবে ‘বেগুন’ বাংলার নিজস্ব সবজি।এখন থেকেই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। এটা ঠিক প্রথমে আমাদের বেগুন ছিল একটি বন্য সবজি। আফ্রিকাতে প্রথম আমাদের এখন থেকে নিয়ে গিয়ে বেগুনের ব্যাপক চাষ শুরু হয়। আজকের রেসিপি ‘ বেগুনের ভর্তা’।
উপকরণ –
* গোল বেগুন -বড় ১ টি (লম্বা বেগুন দিয়েও করা যায়)
*পেঁয়াজ কুঁচি -আধ কাপ
* রসুন মোটা করে কুঁচি – ৪ টেবিল চামচ
* কাঁচা লঙ্কা ফালি করা -৪-৫ টি
* রসুন বাটা – আধ চা চামচ
* হলুদ গুঁড়ো – আধ চামচ থেকে একটু কম
* লঙ্কা গুঁড়ো -১ চা চামচ
* ধনে গুঁড়ো -আধ চা চামচ
* নুন -স্বাদমত
* আস্ত জিরে – ১ চিমটি
* কালো জিরে – ১ চিমটি
* ধনেপাতা কুঁচি -২ টেবিল চামচ
* সরষের তেল – ৪ টেবিল
চামচ
প্রণালী –
প্রথম পর্ব- প্রথমে বেগুন ধুয়ে নিয়ে ,বেগুনের গায়ে একটু তেল মাখিয়ে নিন
দ্বিতীয় পর্ব – সরাসরি আভেনে অথবা তাওয়াতে দিয়ে বেগুন পুড়িয়ে নিন। এরপর ঠান্ডা করে বেগুনের পোড়া খোসা ফেলে দিয়ে হাত দিয়ে চটকে নিন
তৃতীয় পর্ব – কড়াইতে তেল গরম করে আস্ত জিরে ও কালোজিরের ফোড়ন দিন।
চতুর্থ পর্ব – এরপর পেঁয়াজ ও রসুন কুঁচি দিয়ে ভালো করে ভাজতে হবে। পেঁয়াজ-রসুন কুঁচি নরম হয়ে আসলে অর্ধেক কাঁচাঙ্কা ফালি দিয়ে আরো কিছুক্ষণ ভেজে নিন।
পঞ্চম পর্ব – যখন পেঁয়াজ,রসুন ও কাচালঙ্কা হালকা বাদামী হতে শুরু করবে ,তখন এর মধ্যে রসুন বাটা ,হলুদ,ধনে নুন ও অল্প জল দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন।
ষষ্ঠ পর্ব – মশলা ভালো করে কষানো হলে চটকে রাখা বেগুন ও বাকি কাচা লঙ্কা ফালি দিয়ে নেড়ে চেড়ে নিন ২-৩ মিনিট।
সপ্তম পর্ব – বেগুন ভর্তা ভাজা ভাজা হয়ে তেল উপরে উঠলে ধনেপাতা কুঁচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
অষ্টম পর্ব – এই ভর্তা গরম ভাত,রুটি এমনকি পরোটার সঙ্গে খাওয়া যায়।