বাঙালির অসম্ভব প্রিয় এমন অনেক খাবার আছে যা আদোপেও বাঙালির নয়। সেইসব খাবার বাঙালি নিজের করে নিয়েছে। তাই তো বাঙালি ‘মিলিবে ও মিলবে’।
** রসনার তৃপ্তি ‘সিঙ্গারা’ – ভিতরে আলুর পুরওয়ালা এই তেলেভাজার নাম শুনলেই ভোজনরসিকদের জিভে জল চলে আসে। বাঙালির এত আপন যে সিঙ্গাড়া, সেটা কিন্তু বাইরে থেকে এসেছে। মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় খাবার কালের টানে এদেশে এসে ঘাঁটি গেড়েছে। হয়ে উঠেছে আপন।
**ছুটির দিনে ফুলকো ‘লুচি’ – প্রাতরাশে লুচির কথা শুনলেই বাঙালির জিভে জল আসে। সন্ধ্যাবেলার জলখাবারে যদি সিঙ্গারার একচেটিয়া রাজত্ব হয়, তবে সকালে অবশ্যই লুচির রমরমা। ছাঁকা তেলে ভাজা গরম গরম লুচি আর আলুর দম যেন অমৃতকেও হার মানায়। অনেকে তো লুচির পেলে বিরিয়ানিও ভুলে যায়। অথচ লুচি এখানকার খাবার নয়। আগে এদেশে লুচি পাওয়া যেত না। পোর্তুগিজদের হাত ধরে লুচি এদেশে এসেছে। তারপর জড়িয়ে গেছে আবশ্যক খাবারের তালিকায়
**খাবার শুরুতে ‘শুক্ত’ – বাঙালি খাবারের একেবারে শুরুতেই পাতে পড়ে শুক্তো। শুক্তো না হলে খাওয়া অসম্পূর্ণ থেকে যায়। শুক্তো দিয়েই খাওয়া শুরু করে বাঙালি। তারপর মাছ-মাংসের উপাদেয় পদ এসে ভিড় করে। অথচ এই শুক্তোও বাঙালি খাবার নয়। পোর্তুগালের খাবার শুক্তো কালের প্রবাহে মিলেমিশে গেছে বাংলার খাদ্য সংস্কৃতির সঙ্গে।