আর জি কর কান্ড নিয়ে এখন পর্যন্ত ‘ছোট ঘটনা’ – তা হয়তো বলা হয় নি কিন্তু ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ – একথা কুনাল ঘোষ বার বার বলেছেন। তাঁরা তাঁদের দলের অভিনেতাদের মুখ অনেকটাই বন্ধ করে রাখতে পেরেছেন। কিন্তু সবার মুখ তো চিরকালের জন্য বন্ধ করে রাখা যায় না। বন্ধ করা যায় নি অভিনেত্রী শ্রুতির মুখ। আরজি কর কাণ্ডে প্রথম থেকেই সরব অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। চুপ করে রইলের না তিনি। প্রিয় শহরের এই পরিবর্তনে তিনি শঙ্কিত। বহির্বিশ্বের কাছে এ যাবৎ কলকাতা পরিচিত ছিল ‘সিটি অব জয়’ অর্থাৎ আনন্দের শহর হিসেবে। কিন্তু কোথায় আনন্দ? বিগত বেশ কিছু দিন ধরে যা যা ঘটেছে তাতে শহর ভুলেছে তার চেনা ছন্দ। চারিদিকে শুধু আতঙ্কে মোড়া কালো চাদর। শ্রুতি বলেন, এই শহর থেকে আনন্দ হারিয়ে গেছে। এই শহর আজ তাঁর কাছে ‘সিটি অব ফিয়ার’।
প্রথম থেকেই প্রতিবাদে সোচ্চার শ্রুতি। তার অনেক সহ অভিনেতা, অভিনেত্রী অনেকটাই ব্যালান্স করে এগোতে চাইছেন। কিন্তু শ্রুতি অকপট। কিছুদিন আগেই বলেছিলেন, “আমরা যারা টেলিভিশন আর্টিস্ট তাঁদের প্রত্যেক দিন কাজ করতে হয়, তাহলে আমাদের নিরাপত্তার দায় কে নেবে? আমি অত বড় সেলিব্রিটি নই আমার পিছনে দশটা বাউন্সার ঘোরে না।” এই প্রশ্নের জবাব নেই। ঠিক যেমন এতদিন কেটে যাওয়ার পরেও তিলোত্তমার দোষীরা পড়েনি ধরা। শ্রুতির কথায়, “এই যা দেখছি তাতে একটুও আশাবাদী নই। রাত দখল করেছি এবার দিনের বেলাতেও পথে নামব।” শ্রুতির কথায় টেলি জগতের অনেকেই উৎসাহিত হয়ে বলছেন, একটা জোর ধাক্কা দেওয়া দরকার।