Wednesday, March 19, 2025
Homeখবরবিনোদন- জোজো গানের মধ্য দিয়েই প্রতিবাদ করতে চাইছেন

- Advertisment -

বিনোদন- জোজো গানের মধ্য দিয়েই প্রতিবাদ করতে চাইছেন

 

তিলোত্তমা কান্ড যখন ঘটে তার দুমাস পরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। এই পুজোর সময় হয় প্রচুর সঙ্গিতানুষ্ঠান।সংগীত শিল্পীদের মঞ্চনুষ্ঠান এখন আর এখন বিশেষ হচ্ছে না। যা হয় তার বেশিরভাগই হয় পুজোর সময়। কিন্তু তিলোত্তমা কাণ্ডের জন্য এ বছর বেশিরভাব পুজো কমিটি পুজো করলেও কোনো অনুষ্ঠান করছে না। বাতিল হচ্ছে একের পর এক অনুষ্ঠান। পুজো হলেও মনোরঞ্জনে মন নেই বড় অংশের মানুষের। মঞ্চে গায়িকা জোজোর অনুষ্ঠান দেখতে মুহূর্তে ভিড় জমে। শহর থেকে শহরতলি, পুজোয় তাঁর অনুষ্ঠান বাঙালির কাছে বিশেষ আকর্ষণ। আরজি-কর কাণ্ডের বিচারের দাবিতে সরব হয়েছিলেন তিনিও। তিনি বলেন, “কিছু হলেই, প্রথমে কেন শিল্পীদের উপরে কোপ পড়ে? মানুষ মনে করেন, এটা শুধুই মনোরঞ্জনের জায়গা। একজন শিল্পী হয়তো এক লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। কিন্তু তিনি এটা একার জন্য নিচ্ছেন না। গোটা সেটআপের জন্য নিচ্ছেন।” সারা বছর তো এরা তাকিয়ে থাকে এই সময়ের দিকেই। কিন্তু এ বছর যে পরিস্থিতি অন্যরকম।

মুখ্যমন্ত্রী তিলোত্তমা কান্ড ছেড়ে উৎসবে ফিরতে বলেছেন কিন্তু মানুষ উৎসব বর্জন করতে চাইছেন। ফলে কঠিন অবস্থা সংগীত শিল্পীদের। ইতিহাস ঘেঁটে দেখলেও বোঝা যায়, শিল্প কী ভাবে প্রতিবাদের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। কখনও গান গেয়ে, কখনও বা শিল্পীর তুলিতে প্রতিবাদের ভাষা ফুটে উঠেছে। অনুষ্ঠানের মঞ্চকেও তেমনই প্রতিবাদের একটি শক্তিশালী মাধ্যম বলে মনে করেন জোজো। তাঁর কথায়, “যেখানে ১৫ হাজার মানুষ গান শুনতে আসেন, সেখানে আমি নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে পারি। মঞ্চটাই তো আমার সবচেয়ে বড় প্রতিবাদের জায়গা। আর গানবাজনা শুনলেই প্রতিবাদের জোর কমে যাবে, এটা ভুল ধারণা।” স্বাভাবিক কারণেই জোজোর মতো অনেক শিল্পীর একই অভিমত। অথচ পুজো কমিটিগুলো বলছে, পুজোতে আছি কিন্তু উৎসবে নেই।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Most Popular

Recent Comments