নবান্ন অভিযানে সবার দৃষ্টি কেড়েছিলেন তিনি। জানা যায়, ওই গেরুয়া বসন বৃদ্ধের নাম বলরাম বসু। ঋষি অরবিন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত বলরামের সাফাই তিনি পুলিশকে মোটেই চুড়ি পরার কথা তিনি বলেননি। কিন্তু তার এই ব্যাখ্যায় খুশি নয় নাগরিক মহল। গলায় রুদ্রাক্ষের মালা, হাতে জাতীয় পতাকা ধরে পুলিশের জল কামান, টিয়ার গ্যাসের মুখোমুখি হলেন সাধুবাবা। কিন্তু তাঁকে টলানো গেল না। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় সেই চর্চিত সাধুবাবার এক দৃশ্য বন্দি হয়, যেখানে তিনি পুলিশকে ‘হাতে চুড়ি পরার’ নিদান দিচ্ছেন। স্বাভাবিক কারণেই অনেকেই এর তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।
বিশেষ করে ‘আমরা চুড়ি পরে নেই’ ইত্যাদি শব্দবন্ধ অনেক রাজনৈতিক পুরুষ মাঝে মাঝেই করেন। তারা জানেন না, এই কথা আসলে নারী জাতিকে অসম্মান করা। সেই বিতর্কিত ‘নারীবিদ্বেষী মন্তব্য’নিয়ে সরব টলিউডের প্রমিলা ব্রিগেড। সংবাদমাধ্যমে এই নিয়ে মুখ খুলেছেন অপরাজিতা আঢ্য। তিনি বলেন,’তাঁর মা জন্ম দিয়েছেন। মা দুর্গাও চুড়ি পরেন, মা কালীও চুড়ি পরেন। যাঁদের আমরা পুজো করি, যে শক্তির আরাধনা করি… তাঁদের হাতের চুড়ি তো শক্তির প্রতীক’। ছোটপর্দার লক্ষ্মী কাকিমার কথায়, ‘শিব-শিবা মিলে কিন্তু শক্তি এবং চুড়ির অনেক তাৎপর্য রয়েছে।….উনি যদি সেটা না জানেন সেটা ওঁর অজ্ঞতা।’ তবে সবাই সবটা নাও জানতে পারে, কিন্তু এই ধরণের মানসিকতার সমালোচনার করেন অপরাজিতা। টেলিপাড়ার জাঁদরেল খলনায়িকা মিশমি।
মিশমির কথায়, ‘এটা তো একদিক থেকে মেয়েদের অপমান করাই। যাঁরা হাতে চুড়ি পরে থাকে তাঁরা কি দু্র্বল? না তো! এ শক্তির প্রতীক। আমার মনে হয় এই সমস্ত কিছু করে আসল লক্ষ্য থেকে সবাই সরে যাচ্ছি। এসব করা উচিত নয়। যা মূল লক্ষ্য সেদিকেই স্থির থাকা উচিত।’