আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের একটা প্রধান পরামর্শ হচ্ছে, যে ঋতুতে যে সবজি ও ফল প্রাকৃতিকভাবেই সৃষ্টি হয়, তার পুষ্টিগুন মানুষের শরীর খুব সহজেই গ্রহণ করতে পারে। এখন অবশ্য সব ঋতুতেই প্রায় সব সবজিই পাওয়া যায়। আমাদের আজকের বিষয় ‘চিচিঙ্গার পুষ্টিগুন।’ শাক-সবজি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। চিকিৎসকরাও সুস্থ থাকতে সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন। শাক-সবজিতে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। চিচিঙ্গাও তেমনই একটি সবজি। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। এতে রয়েছে ভাল পরিমাণে প্রোটিন এবং ফাইবার, যা শরীরকে ফিট রাখতে সাহায্য করে। চিচিঙ্গায় রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, প্রোটিন, ভিটামিন এ, বি৬, ভিটামিন ই পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি এতে সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, ফসফরাস, জিঙ্ক, আয়োডিন ইত্যাদি অনেক ধরনের খনিজ পাওয়া যায়। অথচ এই সবজিটি এখনও কিছুটা ব্রাত্য। কিন্তু পুষ্টিতত্ত্ববিদেরা বলছেন, চিচিঙ্গা আপনার শরীরের যথার্থ বন্ধু।
চিচিঙ্গার অন্যতম উপাদান ফাইবার। চিচিঙ্গাতে থাকা ফাইবার অন্ত্রে দীর্ঘক্ষণ উপস্থিত থাকে। ফলে সহজে খিদে পায় না। আর খিদে না পেলে আপনি স্বভাবতই কম খাবেন। আর তাতেই ওজন কমে। চিচিঙ্গা শরীরে কম ক্যালোরি, বেশি শক্তি সরবরাহ করে। এটি ডায়াবেটিসের জন্যও একটি কার্যকরী ওষুধ। এটি পেট সংক্রান্ত সমস্যা, গ্যাস এবং ক্র্যাম্প থেকেও মুক্তি দেয়। এবং হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়। এর পাশাপাশি এটি ত্বক এবং চুলের জন্যও খুবই উপকারী। এই সব দিক বিচার করেই চিচিঙ্গাকে মানব দেহের বন্ধু বলা হয়। তাই বাজারে গেলে চিচিঙ্গা কিনতে কিন্তু ভুলে যাবেন না।