অল্প দামের মধ্যে একটা আদর্শ পশু-জাত প্রোটিন হলো ডিম। দিন দিন আমাদের ডিমের চাহিদা বেড়েই চলেছে। তবে ডিম নিয়ে বিতর্ক কম নেই। মূল বিতর্ক হলো ডিমের কোন অংশ আপনি খাবেন – সাদা অংশ না কুসুম।
এই বিষয়ে পুষ্টিতত্ত্ববিদেরা স্পষ্ট বলছেন, যেই সিদ্ধান্ত আপনি নিজেই নিতে পারেন। কুসুম খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যেতে পারে। আর ডিম ভাজা খাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। কিন্তু শরীরে কোনও সমস্যা না থাকলেও কি ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে খাবেন?বিশেষজ্ঞারা বলছেন, সেক্ষেত্রে কুসুম খেতেই পারেন কিন্তু বয়স ৪০ এর বেশি হলে সপ্তাহে ৪/৫ র বেশি ডিম কুসুম সহ না খাওয়াই ভালো।
এবার আমাদের জেনে নিতে হবে ডিমের এই দুটি অংশে কি কি খাদ্যগুন আছে।
* ডিমের সাদা অংশ –
ক্যালোরির পরিমাণ কম। ওজন কমাতে ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। ডিমের সাদা অংশেও প্রোটিন থাকে। এমনকি ডিমের সাদা অংশে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা দেহে একাধিক শারীরবৃত্তীয় কাজকর্মে সাহায্য করে। তাছাড়াও কোনও কোলেস্টেরল নেই। যাঁরা উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা ডিমের সাদা অংশটা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।
* ডিমের হলুস অংশ –
ডিমের কুসুমের মধ্যে ক্যালোরি রয়েছে। এছাড়াও ডিমের কুসুমে ভিটামিন এ, ডি, ই, কে এবং বি, আয়রন, ফসফরাস, জিঙ্কের মতো পুষ্টি পাওয়া যায়। ডিমের কুসুমের মধ্যে কোলিন নামের একটি খনিজ পদার্থ রয়েছে। এটি মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পরিচালনায় সাহায্য করে। এ ছাড়াও হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল ফ্যাটও দরকার। স্বাস্থ্যকর ফ্যাট অর্থাৎ পলিআনস্যাচুরেটেড ও মনোআনস্যাচুরেটেড ডিমের কুসুমে পাওয়া যায়।