‘লেবু’ হলো এমনই এক ফল যা অনন্তকাল ধরে মানুষের বন্ধু হয়ে গেছে। পাতি, কাগজী, গন্ধরাজ ইত্যাদি লেবুর গুণের শেষ নেই। তবে আমাদের আজকের আলোচনা ‘বাতাবি লেবু’। বেশ বড়ো সাইজের বাতাপি লেবুর ভিতরের অংশটা খুব লাল। কোনো কোনো প্রজাতির লেবু অবশ্য ইশৎ হলুদও হয়। পুষ্টি গুণের ভান্ডার এই বাতাবি লেবু। আগস্ট থেকে পুজো পর্যন্ত এই লেবুর প্রচুর উৎপাদন হয়।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন –
ফাইবার, পটাসিয়াম, লাইকোপেন, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, কোলাইনের মতো সম্পদে সমৃদ্ধ বাতাবি লেবু।
* বাতাবি লেবুতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
* এটি দেহের অতিরিক্ত চর্বি ঝরাতেও সাহায্য করে।
* এই ফলে উপস্থিত লিমোনয়েড নামক উপকরণ, ক্যানসারের জীবাণুকে ধ্বংস করে। বাতাবির লাইকোপেন প্রস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
* বাতাবিতে মজুত পেকটিন, ধমনীর রক্তে দূষিত পদার্থ জমা হতে বাধা দেয় এবং দূষিত পদার্থ বের করতে সহায়তা করে। রক্তের লোহিত কণিকাকে টক্সিন (বিষাক্ত পদার্থ) ও অন্যান্য দূষিত পদার্থের হাত থেকে রক্ষা করে বিশুদ্ধ অক্সিজেন পরিবহনে সহায়তা করে।
* যাদের হজমের সমস্যা আছে, তারা এই ফল নিয়মিত খেলে দারুণ উপকার পাবেন। জণ্ডিস বা লিভারের সমস্যায় বাতাবী লেবুর জুরি মেলা ভার।
গবেষণা করে দেখা গেছে, এই লেবু গরমে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখলে দূষণ এবং রোদের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে পারবেন। প্রতিদিন বাতাবি লেবু খেলে, ত্বক যেমন তরতাজা ও টানটান থাকবে সেই সঙ্গে এর আরও উপকারিতা রয়েছে। তাই প্রতিদিন না হলেও মাঝে মাঝে আমাদের খাদ্য তালিকায় বাতাবি লেবু রাখা উচিত।