এই মুহূর্তে ভারতের আশ্রয়ে আছেন শেখ হাসিনা। কিন্তু ভারতের সামনে উপস্থিত এক গভীর সংকট। কারণ বাংলাদেশের অন্তরবর্তীকালীন সরকার সব ধরনের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বন্ধ করতে ছেলেছে। শুধু শেখ হাসিনার নয়, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী-সহ ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সকল মন্ত্রী, সাংসদদেরও কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সম্প্রতি, বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে বহু সরকারি কর্তাদেরও। তাদেরও কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করা হবে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের পাসপোর্ট দফতর এই কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে জানিয়েছে সেই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। স্বাভাবিক কারণেই ভারতে আর বেশিদিন হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া যাবে না।
প্রশ্ন উঠছে, কোন নীতি মেনে হাসিনাকে ভারতে রাখা হবে? তিনি ভারতে আশ্রয় চেয়েছেন। মানবিক একটা কারণ আছে। কিন্তু তা কখনো দেশের আইনের উর্দ্ধে নয়। শেখ হাসিনাক আপাতত কূটনৈতিক পাসপোর্টের বিধান মেনেই ভারতে থাকতে দিয়েছে নয়া দিল্লি। এই পাসপোর্ট বাতিল হলে, অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়ে যাবে ভারত।গত ৫ অগস্ট সন্ধ্যায়, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দিল্লির আসেন। ৬ তারিখ, সংসদে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, ভারত সরকারের কাছে ‘সাময়িকভাবে’ এই দেশে আসার অনুমোদন চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সরকার তা মঞ্জুর করার পর তিনি ভারতে এসেছেন। সেই থেকে দিল্লির উপকণ্ঠে আধাসামরিক বাহিনীর এক অতিথিনিবাস বা ‘সেফ হাউসে’ আছেন হাসিনা ও রেহানা। সূত্র মাধ্যমে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার যে কূটনৈতিক পাসপোর্ট আছে, তা এখনও বৈধ বলেই শেখ হাসিনাকে বিনা চিন্তায় রাখতে পেরেছে ভারত সরকার। কূটনৈতিক পাসপোর্টের সুবাদে শেখ হাসিনা কোনও ভিসা ছাড়াই দেড় মাস পর্যন্ত ভারতে থাকতে পারেন। এই সময়ের মধ্যে কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল না করা হলে, আইনগতভাবে হাসিনাকে ভারতে রাখতে কোনও বাধা ছিল না। কিন্তু বাতিল হচ্ছে ওই কূটনৈতিক পাসপোর্ট! তারপর?