ট্রাম্পের বিজয়ের পরে এটা প্রত্যাশিত ছিল যে আওয়ামী লিগকে আবার স্বমহিমায় দেখা যাবে। হচ্ছেও তাই। শনিবার তারা ঘোষণা করে যে আজ, রবিবার বেলা ১২ টার সময় তারা প্রতিবাদ মিছিল করবে রাজপথে। প্রায় তিন মাস আগে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসেন। তারপর থেকে দলের শীর্ষ নেতারা কারাগারে কিংবা নির্বাসনে রয়েছেন। ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে, অগাস্ট থেকে আওয়ামী লিগের নেতা-কর্মীদের ওপর আক্রমণ বাড়তে থাকে। আর এরই মধ্যে তারা নিজেদের পুনর্গঠিত করতে এবং সংগঠিত হয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। আর তাই তারা আবার রাজপথ দখলের ডাক দিয়েছে। ইতিমধ্যে এর তীব্র প্রতিবাদ করেছে ইউনুস সরকার। আওয়ামী লিগকেও ‘ফ্যাসিবাদী’ আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই আজ রাজপথে নামছে তারা। শনিবার আওয়ামী লিগের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের এই প্রতিবাদ দেশের মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য, মৌলবাদী শক্তির উত্থান রোধে এবং সাধারণ মানুষের জীবনে বিঘ্ন সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে। আমরা সকলকে আওয়ামী লিগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মিলে এই শাসনব্যবস্থার অরাজকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।’ এদিকে রাজপথ অধিকার নিয়েছে পুলিশ। তারাও বদ্ধ পরিকর যে কিছুতেই মিছিল করতে দেবে না। ফলে আশঙ্কা করাই যাচ্ছে যে আজ আবার আগুন জ্বলতে চলেছে ঢাকার রাজপথ।
প্রতিবাদের প্রতিরোধ গড়তে প্রস্তুর সরকার। শনিবার মহম্মদ ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বর্তমানে আওয়ামী লিগ একটি ফ্যাসিবাদী দল। তাদের বাংলাদেশে প্রতিবাদ করার অনুমতি দেওয়া হবে না। কেউ শেখ হাসিনার নির্দেশে র্যালি, সমাবেশ বা মিছিল করার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপের মুখোমুখি হবে। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়।