মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এক বছর অতিক্রম করে গেলো তবুও শান্তি স্থাপনের কোনো ইঙ্গিত নেই। রবিবার সকালে ফের গাজায় বেলাগাম বোমাবর্ষণ করল ইজরায়েলের বায়ুসেনা। মারণ হামলায় উত্তর গাজার জাবালিয়া ও সাবরায় অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে দাবি সেখানকার প্রশাসনের। মৃতদের মধ্যে ১৩ জন শিশু বলে জানা যাচ্ছে। অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু কেন এই গণহত্যা? কোনো উত্তর নেই যুদ্ধ উন্মত্ত দেশগুলোর কাছে। রিপোর্ট বলছে, গত এক বছরে লাগাতার হামলার জেরে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৪৩ হাজার মানুষের। যার মধ্যে অর্ধেকের বেশি মহিলা ও শিশু। শুধু তাই নয় প্যালেস্টাইনের ৯০ শতাংশ মানুষ গৃহহারা হয়েছেন এই হামলায়। কাতারের তরফে যুদ্ধ বিরতির চেষ্টা করা হলেও কোনও ফল হয়নি। যার পরিণতি গাজার মাটিতে লাগাতার বিমান হামলার পাশাপাশি উত্তর গাজার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঢুকে তল্লাশি চালাচ্ছে ইজরায়েল সেনা। এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি সেখানকার মানুষ।
ইসরাইলের অভিযোগ ওখানে গোপনে ডেরা তৈরী করছিল গাজা। তা ধ্বংস করতেই তাদের এই আক্রমন। অন্যদিকে হামলা জারি রয়েছে লেবাননেও। সেখানকার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার রাজধানী বেইরুট থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে আলমাত গ্রামে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে তিন জন শিশু। এদিকে উত্তর গাজার পাশাপাশি দক্ষিন ও পূর্ব গাজাতেই জারি রয়েছে হামলা। কাতার মধ্যেস্থতা করে যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু কোনো কাজে আসছে না। কোনো পক্ষই কাতারের পরামর্শে যুদ্ধ থামাতে উদ্যোগী হচ্ছে না।