পুণ্যের কারণে মসজিদ মন্দিরে মানুষ প্রচুর দান করেন। বহু ধর্ম প্রাণ মানুষ নিয়মিত এই দান করে থাকেন। প্রত্যেকেরই লক্ষ্য স্বর্গ প্রাপ্তি। তাই বলে দানের পরিমান এতো বেশি তা কল্পনা করা যায় না। বান্ডিল বান্ডিল টাকা। টেবিলে থরে থরে সাজানো। মাটিতেও পড়ে রয়েছে গুচ্ছ গুচ্ছ টাকা। সবাই বসে গুনছেন সেই টাকা। এমন দৃশ্য সাধারণত চোখে পরে না। কিন্তু এখন ঘটনাই ঘটেছে বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মংসিংহের কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে। জনশ্রুতি যে ওই মন্দিরে দান করলে স্বর্গলাভ হবে।
জনশ্রুতি আছে যে এক সময় আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জে। এক সময়ে জেগে ওঠা উঁচু টিলাকৃতির স্থানটিতে হঠাৎই দেখা যায় মসজিদ। শত শত বছর ধরে মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে সব ধর্মের লোকজনের যাতায়াত আছে ওই সাধকের আস্তানায়। পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকেই মিলেছে এই বিপুল পরিমাণ টাকা। এর আগেও মসজিদের দানবাক্স থেকে কোটি কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। তবে এবারের টাকা সব রেকর্ড ভেঙেছে। এই মসজিদে রয়েছে ৯টি লোহার দানবাক্স। সেই দানবাক্স খোলা হয়েছে আজ। ৩ মাস ২৬ দিন পর শনিবার সকালে এই দানবাক্সগুলো খোলা হয়। আর তাতে এবার রেকর্ড ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। দুপুর থেকে চলছে এই গণনার কাজ। গণনায় অংশ নিয়েছেন প্রায় ৩৫০ জনের একটি দল। গণনার কাজ কখন শেষ হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, এবার ৩ মাস ২৬ দিন পর দানবাক্স খোলা হয়েছে।