গৌতম বুদ্ধ থেকে গুরু নানক, গুরু নানক থেকে মহাপ্রভু চৈতন্য – সকলেই শান্তির বার্তা দিয়েছেন । সেই শান্তির বার্তা নিয়েই ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি মস্কো ও কিয়েভ ঘুরে এসেছেন। গত দিন দুই আগেই নরেন্দ্র মোদী ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন। জেলেনস্কি সেই বৈঠক নিয়ে খুবই আশাবাদী। ২০২২ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বিশেষ সামরিক অভিযান ঘোষণা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার পর থেকেই চলেছে যুদ্ধ। এর মাঝেই ইউক্রেনে গিয়েছিলেন মোদি। যুদ্ধ থামাতে রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসতে জেলেনস্কিকে পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, আলোচনার পথে হাঁটতে রাজি হয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। কিন্তু মস্কোর সঙ্গে বৈঠকে বসতে কিছু শর্ত রয়েছে। যা নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা বাইডেনকে জানাবে কিয়েভ। বাইডেনকে দেওয়া ‘নীল নকশা’ নিয়ে জেলেনস্কি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “আমাদের পরিকল্পনার প্রথম পয়েন্টই হল রাশিয়াকে যুদ্ধ থামাতে বাধ্য করা। আমি স্পষ্ট জানাতে চাই, যা ইউক্রেনের জন্য ন্যায্য হবে সেটাই করা হবে।” এর থেকে বেশি তিনি আর কিছু জানাননি। কিন্তু শান্তির একটা দরজা তো খুলে দিয়ে আসলেন নরেন্দ্র মোদী।
সেই পথ ধরেই যুদ্ধ বন্ধ হবে – এমন বিশ্বাস করা শুরু করেছে বিশ্ববাসী। আগামী মাসে রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ সভায় যেতে পারেন জেলেনস্কি। তখনই তিনি দেখা করবেন বাইডেন, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। এই সাধারণ সভাতেই ভাষণ রাখবেন মোদি।
উল্লেখ্য, রাশিয়া সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে আলিঙ্গন করা নিয়ে মোদিকে তোপ দেগেছিলেন জেলেনস্কি। কিন্তু এখন মোদি-ম্যাজিকে মুগ্ধ তিনি। অতীতের তিক্ততা ভুলে যুদ্ধ বন্ধে তাঁর ভরসা মোদিই। বিশ্লেষকদের মতে, মোদির পরামর্শে যদি আলোচনায় বসে ইউক্রেন ও রাশিয়া তাহলে তা বিরাট কুটনৈতিক জয় হবে। পুতিনের সঙ্গে মোদির সখ্যের কথা কারও অজানা নয়। এদিকে, তিক্ততা ভুলে জেলেনস্কির কাছে মোদিই ‘শান্তির দূত’। ভারত হবে শান্তির বার্তা বাহক।