ভারতীয় বংশোদ্ভুত কমলা হ্যারিসের দিকে এই মুহূর্তে সারা পৃথিবী তাকিয়ে। কারণ তিনিই এই মুহূর্তে জো বাইডেনের ট্রাম্প কার্ড। সামনেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সারা বিশ্ব তাকিয়ে সেই নির্বাচনের দিকে। একদিকে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিপরীতে জো বাইডেনের প্রতিনিধি আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। নানা বিতর্ক, চর্চার পরে এই দুই হেবি ওয়েটকে মুখোমুখি আলোচনায় বসানো সম্ভান হয়েছিল। আর সেখান থেকেই শুরু হয়েছে নতুন নতুন বিতর্ক। ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে ট্রাম্পের দাবি ছিল, তিনি যদি মার্কিন মসনদে থাকতেন তাহলে এতদিনে কিয়েভে পৌঁছে যেতেন পুতিন। আর তার পরই তাঁকে আক্রমণ করেন কমলা হ্যারিস। বলেন, ”পুতিন কিয়েভে বসে থাকতেন এবং তাঁর চোখ থাকত ইউরোপের দিকে। শুরু করতেন পোল্যান্ড দিয়ে। খুব তাড়াতাড়ি আপনাকে হাল ছেড়ে দিতে হত। আপনি বন্ধুত্ব বলে মনে করলেও ওই একনায়ক আপনাকে গিলেই দ্বিপ্রাহরিক খাওয়া সারত।” স্বাভাবিক কারণেই ট্রাম্প এই প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে বলেন, তিনি চান যুদ্ধ বন্ধ করতে।
এর আগে কমলা হ্যারিসকে কালো বংশের প্রতিনিধি বলেও তীব্র ব্যঙ্গ করেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু এদিন ডিবেট শুরু হলে অনন্য সৌজন্যের নিদর্শন রাখেন কমলা হ্যারিস। নিজেই এগিয়ে গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে করমর্দন করেন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট। তার পরেই ট্রাম্পকে বিঁধে কমলা বলেন, উনি ক্ষমতায় এলে কোটিপতি এবং বড় ব্যবসায়ীদের করছাড়ের সুযোগ করে দেবেন। নিজের মধ্যবিত্ত পরিবারের কথা মনে করিয়ে দিয়ে কমলা বলেন, “আমজনতার জন্য ট্রাম্পের কোনও পরিকল্পনা নেই।” কমলা সাফ জানান, ট্রাম্পের ‘কীর্তি’ শুধরে নিতেই চার বছর সময় লেগে গিয়েছে ডেমোক্র্যাট সরকারের। ট্রাম্প তাকে অবশ্য ছেড়ে কথা বলেন নি। তিনিও উপস্থিত ছিলেন চোখা চোখা শব্দ নিয়ে। যদিও সাধারণ মানুষের কাছে ওই বিতর্কে বিজয়ী কিন্তু কমলা। ট্রাম্প সেভাবে মানুষের মনে দাগ কাটতে পারেন নি।