বিশ্বে এই মুহূর্তে মার্ক্সবাদী অর্থনীতিকে কিছুটা হলেও পিছনে ফেলে পুঁজিবাদী অর্থনীতির বিকাশ ঘটেছে। আর মার্কিনিরা প্রথম থেকেও পুঁজিবাদের পক্ষে। তাই খুব পরিকল্পনা করেই ট্রাম্পের আক্রমন শুরু হয় এইভাবে। সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মুখোমুখি বিতর্কে বসানো গিয়েছিল আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাবনে আমেরিকার দুই প্রতিনিধিকে। সেখানে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় কমলাকে অত্যন্ত ব্যক্তিগত আক্রমন করেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার এবিসি নিউজের বিতর্কসভায় প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘উনি (কমলা) একজন মার্ক্সবাদী। সকলেই জানেন যে উনি একজন মার্ক্সবাদী।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওঁর (কমলা) বাবা অর্থনীতির মার্ক্সবাদী অধ্যাপক। আর উনি (কমলার বাবা) ওঁকে (কমলা) খুব ভালোভাবে সেটা শিখিয়েছেন।’ মার্ক্সবাদী অর্থনীতি বিশ্বের প্রতিষ্ঠিত একটি অর্থনীতি। সেই অর্থনীতি আসলে দরিদ্র মানুষের বিকাশ চায়, অন্যদিকে ট্রাম্প যে ধনবাদী অর্থনীতির প্রতিনিধি, তারা শুধুই ধনী মানুষকে আরো ধনী করে তোলায় ব্যস্ত থাকে – এভাবেই কমলা ট্রাম্পের আক্রমনের উত্তর দেন। পরিবার তুলে ট্রাম্প যে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন, সরাসরি সেটার কোনও উত্তর দেননি ডেমোক্র্যাট পদপ্রার্থী তথা ভাইস-প্রেসিডেন্ট হ্যারিস। বরং করোনাভাইরাস মহামারীর সময় চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের যে প্রশংসা করেছিলেন ট্রাম্প, তা নিয়ে রিপাবলিকান পদপ্রার্থীকে আক্রমণ শানান। কমলা পরিষ্কার করে বলেন, কোভিদের সময় ট্রাম্প চিনের প্রশংসা করেন, অথচ বিশ্বে কোভিদের বিস্তারের জন্য দায়ী আসলে চিন।
কমলা নিজে মার্ক্সবাদী অর্থনীতিতে বিশ্বাস করেন কিনা সেই বিতর্কে তিনি যান নি। কিন্তু কমলা হ্যারিস কোনোভাবেই ছেড়ে কথা বলেন নি ট্রাম্পকে। তিনি অভিযোগ করেন, যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন ট্রাম্প, তখন মার্কিন নাগরিকদের স্বার্থ সুরক্ষিত করেননি। কমলা বলেন, ‘ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন চিনকে আমেরিকার চিপ বিক্রি করেছিলেন। যাতে নিজেদের সামরিক বাহিনীকে আরও মজবুত এবং আধুনিক করে তুলতে পারে চিন। চিনকে নিয়ে এমন নীতি হওয়া উচিত, যাতে একবিশং শতাব্দীর প্রতিযোগিতায় জিতে যায় আমেরিকা।’ কিন্তু ট্রাম্প তা না করে চিনকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। কমলা স্পষ্ট করেই বলেন, ট্রাম্পের হাতে যদি আমেরিকাবাসীর দায়িত্ব পরে তাহলে আমেরিকা আবার অনেকটা পিছিয়ে পড়বে।