এ এক হৃদয় বিদারক নির্মম কাহিনী। সম্প্রতি শেষ হওয়া বাংলাদেশের কোটা আন্দোলনের ঘটনা। একগুচ্ছ ফুল হয়ে বেঞ্চ ‘দখল’ করে রইল আহনাফ।আর শাফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফের স্মৃতি বুকের মধ্যে রেখেই এদিন পরীক্ষা দিল তার বন্ধুরা। কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দিতে গিয়ে গত ৪ অগস্ট মীরপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তার। এদিন পরীক্ষা হলে একটি টেবিলে একগুচ্ছ ফুল রাখে পরীক্ষার্থীরা। সেই ফুলের উপর কাগজে লেখা আহনাফের নাম। তাকে বেঞ্চে ‘বসিয়ে’ রেখেই এদিন পরীক্ষা দেয় সহপাঠীরা। সেই ছবি ভাইরাল হতেই শোকের ছায়া নেমে আসে সর্বত্র।
সরকারের নির্দেশে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে। শুরু হয়েছে পরীক্ষা। সেইমতো খুলেছে ঢাকার বিএএফ শাহীন কলেজ। এই কলেজের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ছিল বছর সতেরোর আহনাফ। কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দিতে গিয়ে গত ৪ অগস্ট মীরপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তার। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে জুলাই মাসের শুরু থেকে উত্তপ্ত হতে শুরু করে বাংলাদেশ। কিছুদিনের মধ্যে পদ্মাপারের দেশে সেই আন্দোলন বৃহৎ আকার নেয়। আন্দোলনে যোগ দেয় আহনাফ। টিয়ার গ্যাস ও রবার বুলেটে একবার আহত হয়েছিল। তার মা ও পিসি তাকে আন্দোলন থেকে দূরে থাকতে বলত। তখন কোটা সংস্কার আন্দোলনে শহিদ আবু সাঈদের কথা বলত আহনাফ। ওইদিন মীরপুরে আন্দোলনের সময় একটি গুলি এসে বিঁধে তার শরীরে। নিথর হয়ে যায় আহনাফ। রবিবার স্কুলের সেই সহপাঠীরাই আহনাফের জন্য একটা বেঞ্চ ছেড়ে রাখে। সেখানে যে আহনাফ বসবে। সশরীরে নয়। একগুচ্ছ ফুল হয়ে।