মালদ্বীপের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বে সম্পর্ক ছিল অনন্ত কাল। কিন্তু মালদ্বীপে নতুন চিনাপন্থী প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু প্রথম থেকেই ভারত বিরোধিতার পথে হাঁটতে গিয়ে মালদ্বীপের আর্থিক সংকট এখন তীব্র। আর সেই সুযোগের অপেক্ষায় যেন বসেছিল চিন। এ বছর বাজেটে মালদ্বীপের জন্য অনুদানের অনেকটা কাটছাট করেছে ভারত। ফলে আর্থিক সংকটে ধুঁকছে মালদ্বীপ। তার উপর মাথায় রয়েছে বড় অঙ্কের ঋণের বোঝা। আর এই পরিস্থিতিতে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে আসরে নেমে পড়েছে চিন। মালেকে আর্থিক সাহায্য করবে বেজিং। চিনপন্থী’ প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পরই ফাটল ধরে ভারত-মালদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। তার পর নানা কারণে সংঘাত আরও তীব্র হয়। জোর ধাক্কা খায় সেদেশের অর্থনীতি। এই অবস্থায় মুইজ্জু আবার হাত পেতেছে চিনের সামনে। চিনও সেই সুযোগের অপেক্ষায় বসে ছিল।
মালদ্বীপের অর্থনীতি মূলত নির্ভর করে পর্যটন শিল্পের উপর। আর ও দেশের পর্যটন শিল্পের প্রায় ৪০ শতাংশ আসে ভারত থেকে। ভারতীয়রা অনেকটাই মুখ ফিরিয়েছে মালদ্বীপ থেকে। আর তার থেকে মুক্তি পাবার জন্য মুইজ্জু আবার হাত পেতেছে চিনের সামনে। শুক্রবার অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উন্নতির জন্য চিনের পিপলস ব্যাঙ্ক অফ চিনের সঙ্গে চুক্তি করেছে মালদ্বীপের আর্থিক উন্নয়ন মন্ত্রক। এই চুক্তির মাধ্যমে লগ্নি ও লেনদেনের পথ প্রসস্ত হবে বলেই জানা গিয়েছে। এনিয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং সংবাদমাধ্যমে জানান, “চিন বরাবরের মতো এবারেও সামর্থ্যের মধ্যে মালদ্বীপের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা করবে।” তবে ঠিক কীভাবে মালদ্বীপকে সাহায্য করা হবে তা নিয়ে বেশি কিছু জানায়নি কমিউনিস্ট দেশটি। চিনা ড্রাগন সারা বিশ্বে বিখ্যাত। এবার হয়তো সেই ড্রাগনের মতো আর্থক ঋণে ডুবিয়ে মালদ্বীপকে গ্রাস করবে চিন। চিনের এই কৌশল বুঝতে পেরেও মুইজ্জু এখনো তার ভারত বিরোধিতা অব্যাহত রেখেছেন।