ভারত কখনোই প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্বেষমূলক আচরণ করে নি। কিন্তু হাসিনা সরকারের পতনের পরে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তেমন সহযোগিতা ভারত পাচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপুজোতে ইলিশের একটা ব্যাপক চাহিদা থাকে। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ওই সময় প্রচুর ইলিশ আসে। কিন্তু এ বছর তা আসবে না। সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস ও প্রাণী মন্ত্রকের পরামর্শদাতা ফারিদা আখতার সাফ জানান যে দুর্গাপুজোয় ভারতে ইলিশ রফতানি করা হবে না। স্বাভাবিকভাবেই এই খবরে মন খারাপ হয়েছিল বাঙালির। তাই বলে কি ভারত ইটের বদলে পাটকেল মারবে? না ভারত তা করবে না।
ভারত থেকে এই সময় প্রচুর পেঁয়াজ রপ্তানি হয় বাংলাদেশে। বাংলাদেশ মুখ ফেরালেও, ভারত কিন্তু সেই আচরণ করেনি। শুক্রবারই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পেঁয়াজের উপরে রফতানি শুল্ক ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হচ্ছে বলে ঘোষণা করা হয়। ভারত সরকারের এই ঘোষণায় স্বস্তিতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা, কারণ সেখানে চড়া দামে বিকোচ্ছে পেঁয়াজ। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে না পারায়, পাকিস্তান, মিশরের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল। কিন্তু তারা পেঁয়াজের দাম কমায়নি। ফলে ভারী শুল্ক দিয়েই আমদানি করতে হচ্ছিল পেঁয়াজ। দামের ঝাঁঝেই চোখে জল আসছিল বাংলাদেশিদের। এখন দেখার বাংলাদেশ তাদের সিদ্ধান্তের পরিবর্তন করে কিনা!