২১ তারিখ ৩দিনের আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী ২১ সেপ্টেম্বর কোয়াড সামিটে অংশ নেবেন। ২২ সেপ্টেম্বর আমেরিকায় ভারতীয় সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। এবং ২৩ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে। তবে এই সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল এই কোয়াড বৈঠক। অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জাপান ও আমেরিকা এই চার দেশ নিয়ে গঠিত কোয়াড। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের আগ্রাসনকে সামাল দিতে হাতে হাত রেখেছিল এই দেশগুলি। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে বার বার অভিযোগ উঠেছে, কোয়াড ক্রমশ গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছে। গত জানুয়ারি মাসে কোয়াড বৈঠক হলেও তাতে যোগ দেয়নি আমেরিকা। বরং ভারতকে বাদ দিয়ে তৈরি হয় নয়া সংগঠন ‘স্কোয়াড’। ভারতকে বাদ দেওয়ার পিছনে আমেরিকার স্পষ্ট মত যে ভারত রাশিয়ার ক্ষেত্রে স্পষ্ট রাশিয়া বিরোধিতায় যাচ্ছে না।
স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, চিনের ক্রমাগত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কি কোয়াড এখন প্রাসঙ্গিক? কূটনৈতিক মহলের দাবি, কোয়াডের অন্তর্ভুক্ত হলেও ভারত নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান ছিল আমেরিকা। একাধিকবার এই জোটের সামরিক মহড়ায় সাগরে শক্তি প্রদর্শন করেছে নয়াদিল্লি। কিন্তু কোয়াডে থাকলেও সরাসরি চিনের সঙ্গে লড়াই যেতে চায় না ভারত। এমনকি রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বকেও খুব একটা ভালো নজরে দেখে না ওয়াশিংটন। এদিকে, নিজস্ব বিদেশনীতির জন্য পশ্চিমা বিশ্বের সমস্ত সিদ্ধান্তে সায় দেয় না ভারত। তাই কোনও দিন যদি চিন ও রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়ায় আমেরিকা, তাহলে ভারত কতটা পাশে থাকবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাই সন্দীগ্ধ কোয়াদের সাফল্য নিয়ে।