সাধারভাবে আমরা সবাই জানি যে মিশরকে বলা হয় ‘পিরামিডের দেশ।’ এক কারণ যদি এটা হয় যে, মিশরে সবচেয়ে বেশি পিরামিড আছে – তাহলে বলবো উত্তরটা ভুল। কারণ সবচেয়ে বেশি পিরামিড কিন্তু মোটেও মিশরে নয়। এই বিষয়েই আসল তথ্য হলো অন্য এক দেশ। অনেকেই পিরামিডের কালের রোমাঞ্চ, রহস্যকে ছুঁয়ে দেখতে যান৷ তার জন্য তাঁদের গন্তব্য হয়, ইজিপ্টে৷ তবে বৈজ্ঞানিকরা অন্য কথাই বলছেন৷ সায়েন্স অ্যালার্ট ওয়েবসাইটের রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পিরামিড মেলে মিশরেরই নিকটবর্তী দেশ সুদানে। তাহলে সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে পিরামিদের দেশ হলো মিশর নয় সুদান।
কিন্তু তবুও কেন মিশরকে পিরামিডের দেশ বলা হয় সেই প্রশ্ন পরে আসছি। তার আগে সংখ্যাতত্ত্বটা দেখে নি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,সুদানে পিরামিডের সংখ্যা প্রায় ২০০ থেকে ২৫৫৷ যেখানে মিশরে পিরামিড রয়েছে ১৩৮টি৷ মনে করা হয়, সুদানের পিরামিডগুলো তৈরি হয়েছিল, কুশ সাম্রাজ্যের সময়৷ এই প্রাচীন সভ্যতা গড়ে উঠেছিল খ্রীষ্টপূর্ব ১০৭০ দিকে৷ প্রায় ৩৫০ খ্রীষ্টাব্দ অবধি এই সভ্যতা স্থায়ী হয়েছিল৷ নীল নদের তীরে গড়ে উঠেছিল প্রাচীন এই সভ্যতা৷
এবার মিশর প্রসঙ্গে বলা হয় যে মিশরের পিরামিড অনেক সুন্দর ও বড়ো। সম্ভবত সেই কারণেই মিশরকে পিরামিডের দেশ বলা হয়। মনে করা হয় দুই দেশেই প্রিয়জনকে কবর দিতেই এই পিরামিডের নির্মাণ৷ যদিও সুদানের পিরামিডগুলো চেয়ে মিশরের পিরামিডের উচ্চতা অনেক বেশি৷ সুদানের কেন্দ্রে অবস্থিত মেরো শহরে সবচেয়ে বেশি পিরামিড রয়েছে৷ এই শহরে প্রায় ২০০টি পিরামিড আছে৷ বাকি পিরামিডগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে৷ আরেকটি তথ্য হলো – পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পিরামিডটি কিন্তু মিশরে অবস্থিত নয়৷ সেটি দেখতে গেলে আপনাকে যেতে হবে মেক্সিকোতে৷