শুনে নিশ্চই সবাই অবাক হবেন। কিন্তু সেই দেশের প্রাকৃতিক অবস্থানের জন্য সেই দেশে নেই কোনো মশার অত্যাচার। ফলে নেই মশাবাহিত কোনো রোগ। দেশটির প্রতিবেশী দেশ নরওয়ে, ডেনমার্ক, স্কটল্যান্ড এমনকি গ্রীনল্যান্ডেও যথেষ্ট মশার উৎপাত আছে। নেই শুধু আইসল্যান্ডে। আইসল্যান্ডের আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না মশারা। এখানকার হ্রদে মশারা বংশ বিস্তারের আসলে সুযোগই পায় না। কারণ বছরে তিনবার হ্রদগুলো পুরোপুরি বরফে পরিণত হয়। এমনকি সেখানে পোকামাকড়, সাপ কিছুই নেই। তার কারণ আছে প্রকৃতির মধ্যেই।
দেশে মশা নেই বলেই ওখানে গবেষণাগারে মশাকে সংরক্ষণ করা হয়। আইসল্যান্ডিক ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে মশার দেহাবশেষ সংরক্ষিত আছে। বিশ্ব বিজ্ঞানীরা বলছেন, অ্যান্টার্কটিকা এবং আইসল্যান্ড পৃথিবীর এমন দুটি অবস্থান যেখানে বিরক্তিকর কীটপতঙ্গ কখনো আবাস গড়তে পারেনি। এছাড়া এই দেশে কোনো সাপও নেই। জল ও স্থলভাগ অতিমাত্রায় শীতল-এমন দেশে সাপ বসবাস করতে পারে না। এ কারণে আইসল্যান্ডে সাপের কোনো অস্তিত্ব নেই। আইসল্যান্ড যেহেতু শীতপ্রধান দেশ তাই সাপ এখানে টিকতে পারে না। বিজ্ঞানীরা প্রায়ই এসব দেশে সাপ ছেড়ে দেয় পরীক্ষার জন্য। কিন্তু তারা নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে পারে নি।