সিঙ্গাপুরে একটা নিয়ম আছে, বিয়ের অন্তত তিন বছরের আগে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করা যায় না। আর সেই নিয়মের গেঁড়োয় আটকে সিঙ্গাপুরের সেই যুবক অন্য পথ নিতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিয়ের বছরই একে অপরের থেকে আলাদা হয়ে যান সিঙ্গাপুরের এক দম্পতি। তবে নিয়মের কারণে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদের আবেদন করতে পারছিলেন না। তখন তান জিয়াংলং (৩৭) নামে ওই ব্যক্তি স্ত্রীকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, তান জিয়াংলং আধা কেজির বেশি গাঁজা স্ত্রীর গাড়ির পেছনে যাত্রীর আসনের মাঝখানে রেখে দেন। কারণ, তান জানতেন, মাদক চোরাচালানের দায়ে স্ত্রীকে ফাঁসাতে এবং তার মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত। কিন্তু ভাগ্য তার বিরুদ্ধে। তাই তার পরিকল্পনা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হলো।
বিশ্বে যে কয়েকটি দেশে মাদকবিরোধী কঠোর আইন বিদ্যমান, তার একটি সিঙ্গাপুর। সিঙ্গাপুরে কার কাছ থেকে কী পরিমাণ মাদক বাজায়প্ত করা হলো, তার ভিত্তিতে সাজার ধরন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। মাদক বহনকারীকে সাধারণত কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে দেশটিতে মাদক চোরাচালানকারীদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। জানা যাচ্ছে, এক চোরা চালানকারীর কাছ থেকে তিনি ৫০০ গ্রামের বেশি গাঁজা কেনেন। আর তারপরেই পার্কিংয়ে রাখা ওই গাড়ির সিটে রেখে আসে ওই মাদক। কিন্তু তিনি জানতেন না তার স্ত্রীর গাড়িতে আছে একটা ক্যামেরা লাগানো। সব কাজ সুষ্ঠুভাবে করলেও সেই ক্যামেরাই তাকে ধরিয়ে দিলো। প্রচলিত প্রবাদ -‘পাপ বাপকেও ছাড়ে না।’