চমকে ওঠার মতো আবিষ্কার। পৃথিবীর যে কোনো মিউজিমে স্থান পেতে পারে এই প্রাক মৃত্যুকালীন চিঠি। সেই চিঠি উদ্ধার হতে বহু মানুষের চোখে জল চলে আসে। আজ থেকে ১২২ বছর আগে আমেরিকার এক কয়লা খনির ঘটনা। দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯০২ সালের ১৯ মে। টেনেসি শহরে একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণ হয়। বন্ধ হয়ে যায় খনিমুখ। বিস্ফোরণের জেরে তৎক্ষণাৎ ১৯০ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ভিতরে আটকে পড়েন ২৬ জন। নিজেদের বাঁচাতে তাঁরা খনির আরও ভিতরে চলে যান। কিন্তু, ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় তাঁদের। বুঝতে পারেন, বাঁচার সম্ভাবনা নেই। তখন জ্যাকব ভাওয়েল নামে এক শ্রমিক তাঁর স্ত্রীকে চিঠি লেখেন। হৃদয় বিদারক সেই চিঠি সম্প্রতি মানুষের হাতে এসেছে।
মৃত্যুর ঠিক আগে স্ত্রীর প্রতি লেখা যেই চিঠির ছত্রে ছত্রে স্ত্রী ও সন্তানদের প্রতি ভালোবাসার কথা। স্ত্রীকে জ্যাকব লেখেন, “খারাপ পরিস্থিতিতে তোমায় রেখে যেতে হচ্ছে আমায়। আমার সন্তানদের মানুষ করার জন্য ঈশ্বরের উপর আস্থা রেখো। এলেন, আমার ছোট্ট লিলির খেয়াল রেখো। ঈশ্বরের উপর আস্থা রয়েছে ছোট্ট এলবার্টের।” এরপর স্ত্রীকে জ্যাকব লেখেন, “আমরা আহত হইনি। এখানে আমরা মাত্র কয়েকজন আছি। বাকিরা কোথায় রয়েছে জানি না। এলবার্ট তোমায় বলছে, স্বর্গে দেখা হবে। আমার সব সন্তানদের বলো আমাদের দু’জনের সঙ্গে স্বর্গে ফের দেখা হবে।” ১৯০২ সালের লেখা এই চিঠিই এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এক খনিশ্রমিকের মর্মস্পর্শী চিঠি। জ্যাকব-সহ ওই ২৬ জনের মৃত্যু হয় খনির মধ্যে। সবমিলিয়ে ওই খনিতে বিস্ফোরণে ২১৬ জনের মৃত্যু হয়। ওই চিঠির ভাষায় নাগরিক মহলের চোখ জলে ভরে ওঠে।