মানুষের সাধারণ প্রবনতা মাটির উপরে নিজেদের বাড়ি ঘর তৈরী করা। আর সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিশ্বে কিছু অস্বাভাবিক ঘটনাও তো ঘটে। যেমন অস্ট্রিলিয়ার এক গ্রাম – অবশ্য একে গ্রাম না বলে শহর হলেই ভালো। মাটির নীচে সেই গ্রামে/শহরে প্রবেশ করলেই দেখতে পাবেন কত মানুষ, কত জনপদ, কোলাহল পূর্ণ উচ্চপ্রযুক্তির গ্রাম। এখানে দামি হোটেল থেকে শুরু করে সুইমিং পুল-সবকিছু রয়েছে। এই গ্রাম দেখলেই মনে হবে পৃথিবীর গভীরে যেন আর একটা বিশ্ব রয়েছে। কিন্তু কেন তা মাটির নিচে?
গ্রামের নামটি কুবরে পেডি। গ্রাম না বলে শহর বলাই ভালো। কুবের পেডি আর পাঁচটি আধুনিক শহররে মতোই। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড থেকে ৮৪৬ কিলোমিটার উত্তরে। এই
কুবের পেডিতে বাস প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষের বসবাস শহরটিতে। এই শহরে সকলের মাটির নীচে বাস করেন। শহরটির জন্ম ১৯১৫ সালে। অস্ট্রেলিয়ার একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তখন চলছে গ্রীষ্মের দাপট। কুবের পেডি এলাকায় ৪০ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রা। মানুষ অতীষ্ট। তখনই বাসিন্দারা মাটি খুঁড়তে শুরু করেন। মাটির তলাতেই পাকাপাকি থাকার বন্দোবস্ত করবেন তাঁরা। কথা মতোই কাজ। তারপরই কুবের পেডি বিশ্বের বিস্ময় হয়ে উঠেছে। এখন তা আমাদের সকলের বিস্ময়।