বিশ্ব দ্রুত গতিতো এগিয়ে চলেছে শিল্পায়ন ও নগরায়নের দিকে। আর শিশুদের কাছ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে তাদের শৈশব। তারই পরিণামে শিশুরা হয়ে উঠছে হিংস্র। এমন একটা ঘটনা ঘটেছে আমেরিকার জর্জজিয়া। ঘটনাসূত্রে জানা যাচ্ছে,স্কুল থেকে মেসেজ পাঠিয়েছে ছেলে। সেই মেসেজ পড়েই চমকে উঠলেন মা। মেসেজে লেখা, ‘মা, আমায় ক্ষমা করো’। মেসেজ পড়েই স্কুলে ফোন করলেন মা। তড়িঘড়ি নিজেও গাড়ি চালিয়ে স্কুলে রওনা দিলেন। কিন্তু, শেষরক্ষা হল না। তাঁর ছেলে ততক্ষণে স্কুলের মধ্যে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে ৪ জনকে খুন করেছে। মাত্র ১৪ বছর বয়সের এক শিশুর এমন হিংস্র মানসিকতা কেন হবে?
কেন এমন হিংস্র মানসিকতা হবে তা বিচার করবেন মনোবিদরা। কিন্তু নাগরিকমহল স্তম্ভিত এই ঘটনায়। ঘটনাটি সামনে আনেন শিশুটির দাদু দাদু চার্লস পলহমাস। তিনি জানান, ঘটনার দিন (৪ সেপ্টেম্বর) তাঁর মেয়ে মারসি গ্রেস বাড়িতে ছিলেন। হঠাৎ গ্রেস ছেলের একটি মেসেজ পান। তাতে লেখা, ‘মা, আমায় ক্ষমা করো’। ছেলের এমন মেসেজ পেয়েই স্কুলে ফোন করেন গ্রেস। তাঁর ছেলে যেখানেই থাকুক না কেন, তাকে দেখার কথা বলেন। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গেছে।
অর্ধেক পথ যাওয়ার পরই দুঃসংবাদ পান। গ্রেস জানতে পারেন, তাঁর ছেলে স্কুলে গুলি চালিয়ে দুই শিক্ষক ও দুই পড়ুয়াকে খুন করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোর ও তার বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিশোরের বাবাকে গ্রেফতার করার কারণ নিয়ে পুলিশ জানায়, ক্রিসমাসের উপহার হিসেবে ছেলেকে এআর-১৫ স্টাইল রাইফেল কিনে দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। সেই রাইফেল দিয়েই স্কুলে হামলা চালায় ওই কিশোর।