না, ঘটনাটা বাংলা বা ভারতের নয়। ঘটনাটা ইউরোপের। জামাই শাশুড়ির চির পরিচিত গন্ডগোলের ছবি। ঘটনা সূত্রে জানা যাচ্ছে, বছর ৩৮ এর এক ব্যক্তি স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে চির রোমান্টিক ভেনিস শহরে বেড়াতে গিয়েছিলেন। একেবারে শেষ মুহূর্তে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায় তার শাশুড়ি – যা ওই ব্যক্তির একদম না পসন্দ। হোটেলে মাত্র একটা ফোর বেডেড রুম। স্বামী তো ক্ষেপে লাল। শাশুড়ি নাকি তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর বিছানায় বসে পড়ছিলেন বার বার। এই ভাবে ‘ব্যক্তিগত’ স্পেসে ঢুকে পড়াটা একেবারেই ভালো লাগছিল না ভদ্রলোকের। এমনকী তাঁদের ব্যাগপত্তরও ঘাঁটাঘাঁটি করছিলেন শাশুড়ি। ব্য়বহার করছিলেন মেয়ের ফেসওয়াশ, শ্যাম্পু! কিন্তু তাঁর সবচেয়ে খারাপ লাগে টুথপেস্টের বিষয়টি। তিনি লিখেছেন, ‘আমার একদমই ভালো লাগেনি ওঁর আমাদের টুথপেস্ট ব্যবহার করাটা। উনি নিজের ব্রাশটি রাখছিলেন আমাদের পেস্টের মুখের একেবারে কাছে। এটা নিয়ে ভাবতে গেলেই আমার অসুস্থ অনুভূতি হচ্ছিল।’ এই নিয়েই শুরু হয় স্বামী স্ত্রীর বাক বিতন্ডা।
স্ত্রীও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। শুরু হয় ঝগড়া। ভদ্রলোকও রেগেমেগে বলতে থাকেন, সব খরচই তিনি করছেন, অথচ কথাও তাঁকেই শুনতে হচ্ছে। শেষমেশ নিজের বিমানের টিকিট বদলে সটান বাড়ি ফিরে যান তিনি। স্ত্রী ফোন করে বলেন, তাঁদের মেয়ে এই পুরো ব্যাপারটিতে খুবই বিমর্ষ হয়ে পড়েছে। কিন্তু স্বামী আর ফিরে যায় নি তাদের কাছে। সোশাল মিডিয়ায় এই নিয়ে অভিমান প্রকাশ করে অবশ্য তিরস্কৃতই হয়েছেন ওই ব্যক্তি। অনেকেই বলেছেন, এই সামান্য সব বিষয়ে তাঁর বিরক্ত হওয়া এবং সফর ছেড়ে চলে আসাটা অবিশ্বাস্য।