গানে আছে ‘আজ যে রাজা, কাল সে ফকির।’ ডাঃ সন্দীপ ঘোষের অবস্থা ঠিকই তেমনই। মাত্র এক মাস আগেই তিনি ছিলেন আর জি কর হাসপাতালের স্ব ঘোষিত মুখ্যমন্ত্রী। আর মঙ্গলবার তাকে দেখেই মানুষ চিৎকার করে বলেন – ‘চোর।’ সোমবার রাতে গ্রেফতার। এবার আদালতের পথে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এদিন দুপুর তিনটে নাগাদ সন্দীপ-সহ চারজনকে নিজাম প্যালেস থেকে বের করে নিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকেরা। গন্তব্য আলিপুর আদালত। আর তাদের দেখেই মানুষের চিৎকার -‘ওই যায় চোর।’
সন্দীপকে বের করার আগের থেকেই ভীর জমা শুরু হয় নিজাম প্যালেসের গেটের সামনে। আশপাশের সরকারি দফতরের বহু কর্মীই এদিন ভিড় জমান নিজাম প্যালেসের সামনে। সন্দীপকে দেখে অনেকেই আবার চোর চোর স্লোগান দিয়ে ওঠেন। পাশাপাশি সাংবাদিকরা একাধিক প্রশ্ন করলেও ক্যামেরার কার্যত মুখ লুকিয়ে নিজাম ছাড়তে দেখা যায় সন্দীপকে। কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দিতে চাইলেন না। এদিন সন্দীপকে আদালতে পেশ করার পর তাঁকে হেফাজতে নিতে চাইছে সিবিআই। সন্দীপ ছাড়াও সোমবার গ্রেফতার হয়েছেন আফসার আলি, সুমন হাজরা ও বিপ্লব সিংহ নামে তিন ব্যক্তি। আফসার আবার সন্দীপের নিরাপত্তারক্ষী। পাশাপাশি সুমন ও বিপ্লব ভেন্ডার হিসাবে পরিচিত। এরা দু’জনেও সন্দীপ ঘনিষ্ঠ বলে জানা যায়। হাসপাতালের সিংহভাগ টেন্ডার কোনও এক অজ্ঞাত কারণে বরাবর এরা পেয়ে যেতেন বলে খবর। একযোগে চালিয়েছেন দুর্নীতি।অথচ এই দুর্নীতির অভিযোগ স্বাস্থ্য দফতরে জমা পড়েছিল এক বছর আগে।