আর জি কর কাণ্ডের পরেও বহু টিএমসি নেতা নেত্রীরা আছেন স্বমহিমায়। তাদের অনেকেই নিজেদের আমির ওমরাহ ভেবে থাকেন। তারই পরিচয় আবার পাওয়া গেলো বারুইপুরে। ফিটনেস সার্টিফিকেট পেতে দেরি হওয়ায় নজিরবিহীনভাবে আক্রমণ কর্তব্যরত চিকিৎসককে। তাঁর চাকরি কেড়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি শাসকদলের দাপুটে নেত্রীর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার চূড়ান্ত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বারুইপুর হাসপাতালে। তৃণমূলনেত্রীর এমন ব্যবহারে ক্ষোভে ফেটে পড়েন হাসপাতালের অন্য চিকিৎসক থেকে শুরু করে রোগীরাও। খবর যায় থানায়। মুহূর্তে ছড়িয়ে পরে বিদ্রোহ। আর জি করের রেশ আছড়ে পরে ওখানেও।
জানা যাচ্ছে, ঘটনার সময় উপস্থিত রোগীরাই বারুইপুর থানায় খবর দিয়ে দেন। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে চলে যায় পুলিশ। চিকিৎসকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করায় উপস্থিত বাসিন্দারাই রুখে দাঁড়ায়। অভিযুক্ত মহিলাকে আটক করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, আটক ওই মহিলার নাম মুনমুন মোল্লা। তিনি জয়নগরের বামুনের চকের বাসিন্দা। এলাকায় দাপুটে তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচিত মুনমুন। এদিন স্থানীয় বেশ কয়েকজন যুবককে নিয়ে বারুইপুর হাসপাতালে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। চিকিৎসকের কাছে ফিটনেস সার্টিফিকেট চাইতে গিয়েছিলেন তিনি। তারপরেই তিনি তিনি রীতিমতো ‘থ্রেড’ দেওয়া শুরু করেন ওই চিকিৎসককে। পুলিশ তাকে আটক করলেও শেষ পর্যন্ত সঠিক কেস দেবার সাহস পাবে কিনা তা নিয়ে সন্দীগ্ধ নাগরিক মহল।