এটা যে কোনো সভ্য সমাজের পক্ষে খুবই লজ্জার যে একটি রাজ্য মন্ত্রীসভার একটা অংশ দুর্নীতির দায়ে জেল বন্দি ও আরো কিছু মন্ত্রীকে সেই রকম দুর্নীতির দায়ে মাঝে মাঝেই হাজিরা দিতে হচ্ছে তদন্তকারী সংস্থার কাছে। যেমন আজ, বুধবার মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা হাজিরা দিয়েছেন সিজিও কমপ্লেক্সে। সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করার ক্ষেত্রে ডেকে পাঠানো হয়েছে চন্দ্রনাথ সিনহাকে। তাঁর বাড়িতে আগে ইডি হানা দিয়েছিল। আর তল্লাশি করে মিলেছিল ৪১ লক্ষ টাকা। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সেটা বেশ আলোড়ন ফেলে দেয়। তবে এখানে থেকে থাকেননি ইডি অফিসাররা। আজ বুধবার তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। তাতেই দিলেন সাড়া। এদিকে চন্দ্রনাথ সিনহা যে মুখ্যমন্ত্রীর খুবই কাছের মানুষ তা বোঝা যায়, সম্প্রতি অখিল গিরি মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর তাঁর হাতে থাকা কারা দফতর যায় চন্দ্রনাথ সিনহার হাতে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ইতিমধ্যে খবরে প্রকাশ, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে চন্দ্রনাথের নাম উঠে আসে। বলাগড়ের বহিষ্কৃত তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হন। তার সূত্র ধরেই মন্ত্রী চন্দ্রনাথের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র তদন্তে নেমে কুন্তলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সেই তল্লাশি অভিযানের সময় একটি রেজিস্টার খাতা তদন্তকারীদের হাতে আসে। সেখানে ১০০ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা লেখা ছিল। চন্দ্রনাথের মাধ্যমেই ১০০ জন চাকরিপ্রার্থী কুন্তলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। এমন তথ্যই আসে ইডির হাতে। এখন দেখার আজ ইডি মন্ত্রী মশাইয়ের বিরুদ্ধে কোনো বড়ো পদক্ষেপ নেয় কিনা!