এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেস ঘরে ও বাইরে – সর্বত্র প্রতিবাদের মুখে। আর জি কর কাণ্ডের পর থেকে প্রতিবাদ আন্দোলনে আপামর মানুষ পথে নেমেছেন। সেই প্রতিবাদ আটকানোর চেষ্টার মধ্যেই দলের দুই শীর্ষ নেতা ডাঃ শান্তনু সেন ও সাংসদ সুখেন্দু শেখার রায় সেই বিদ্রোহের সাথে সুর মিলিয়েছেন। ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত বুধবার ‘মহিলাদের পথ দখল’ আন্দোলকে সমর্থন জানিয়ে তিনি পথে নামবেন বলেছিলেন। কোনোভাবে তাঁর পথে নামা আটকানো গেলেও তাঁর কন্ঠ রোধ করা যাচ্ছে না। তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ পোষ্ট করেছেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমন কি তিনি বলেন, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে সিবিআই হেফাজতে নিয়ে জেরা করা উচিত । আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন বলে জানান তিনি। ওই পোস্টেই কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াড নিয়েও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। স্বাভাবিক কারণেই নাক কাটা গেছে রাজ্য প্রশাসনের। তাই লাল বাজার আর চুপ থাকতে পারে না।
সম্ভবত পুলিশ মন্ত্রীর পরামর্শ নিয়েই লাল বাজার রবিবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠান। কিন্তু তিনি যান নি। খবরে প্রকাশ, তাঁকে দ্বিতীয়বার ডাকা হয়েছে। এই অবস্থাতেই গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কায় কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। সোমবার মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। মঙ্গলবার মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে নিজের অবস্থান জানিয়ে সোমবার সকালে তিনি রবি ঠাকুরের সেই বিখ্যাত গানটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন। গানটি হলো – ‘আমি ভয় করবো না ভয় করবো না/ দু’বেলা মরার আগে মরবো না ভাই মরবো না।’