আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে অবস্থান আন্দোলনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে জুনিয়র চিকিৎসকেরা। স্বাভাবিক কারণেই সমস্ত হসপিটালের চিকিৎসা পরিষেবা অনেকটাই বিঘ্নিত হচ্ছে – এতে কোনো সন্দেহ নেই। এই পরিস্থিতিতে কোন্নগরের এক যুবকের মৃত্যু নিয়ে উঠেছে বিতর্ক। কোন্ননগরে একটি লরি দুর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু হয়। অভিযোগ, শ্রীরামপুরের ওয়ালশ হাসপাতালে চিকিৎসার পর তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে রেফার করা হলে সেখানে দুই ঘন্টা বিনা চিকিৎসায় পড়ে থাকার পর মৃত্যু হয়েছে যুবকের।এই নিয়ে কার্যত প্রতিবাদী চিকিৎসকদের ওপরেই দোষারোপ করতে শুরু করেছে শাসক শিবির। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বিনা চিকিৎসাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। আর এখানেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
অভিষেকের অভিযোগের প্রতিবাদে মুহূর্তে গর্জে উঠেছেন জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন। চিকিৎসক সংগঠনের পাল্টা দাবি, ওই যুবক বিনা চিকিৎসার কারণে মৃত্যু হয়নি। বরং তাঁকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়ছিল। কিন্তু তার পরেও স্বাভাবিক নিয়মে মৃত্যু হয় তাঁর। গত ৬ সেপ্টেম্বর অভিষেক লেখেন, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে তাঁর সমর্থন আছে। কিন্তু তাঁদের আরো মানবিক হওয়া উচিত। তাহলে এভাবে একজন যুবকের মৃত্যু হতো না।
সোমবার পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট প্লাটফর্মস অফ ডক্টরসের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলা হয়েছে সকাল ৯টা ১০ মিনিট থেকে ১২টা পর্যন্ত ওই যুবককে চিকিৎসা করা হয়েছে এবং তার যথেষ্ট নথি ও তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের ভিত্তিহীন দাবি ও উষ্কানিমূলক।