আর জি কর কান্ড নাড়িয়ে দিয়েছে সারা পৃথিবীর শুভবোধ সম্পন্ন মানুষকে। শুধু পশ্চিমবঙ্গ বা ভারত নয়, ভারতের বাইরেও বহু দেশের মানুষ এর প্রতিবাদে পথে নেমেছে। সারা বাংলা জুড়ে প্রতিদিন চলেছে ‘উই ওয়েন্ট জাস্টিস’ ধ্বনি। আইনের কোনো ধারা দিয়েই তা আটকাতে পারছে না পুলিশ। এবার তারা নেমেছে মানুষের কন্ঠরোধ করতে। অন্তত বিরোধীদের তাই অভিযোগ। এই প্রতিবাদের সুযোগ হাত ছাড়া করতে রাজি নন বিরোধী দোলনতা শুভেন্দু অধিকারী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট নিয়ে ইতিমধ্যে লাল বাজার থেকে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। অনেককে লাল বাজারে ডেকে জিজ্ঞসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। গর্জে উঠেছেন শুভেন্দু। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য – এভাবে মানুষের বাক স্বাধীনতা হরণ করতে পারে না। প্রশাসন। রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট করেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। জানান, নোটিসের প্রতিলিপি তাঁর ইমেল আইডিতে পাঠাতে। ইমেল আইডিও দিয়ে দিয়েছেন পোস্টেই। লেখেন, ‘আপনাদের আইনি সহায়তার জন্য আমার আইনজীবী আপনাদের সঙ্গে শীঘ্রই যোগাযোগ করে নেবেন।’ তিনি স্পষ্ট করে বলেন, বাক স্বাধীনতা গণতন্ত্রের প্রধান বিষয়। তা হরণ করার চেষ্টা হলে আন্দোলন আরো তীব্র হবে। প্রসঙ্গত স্মরণীয় বাক স্বাধীনতা হরণের চেষ্টা মুখ্যমন্ত্রী আগেও করেছিলেন। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরে তৎকালীন বিরোধী দল বামপন্থীদের ১০ বছরের জন্য মুখে ‘সেলোটেপ’ লাগাতে বলেছিলেন।
শুভেন্দু একাধিক আলোচনায় বলেছেন ও নিজের পোষ্টে লিখেছেন, নিজের মতামত ব্যক্ত করার জন্য কাউকে হেনস্থা করলে তাঁর পাশে আছেন বলে জানান বিরোধী দলনেতা। লেখেন, ‘শুধুমাত্র প্রতিবাদ ও সমালোচনা করার উদ্দেশে আপনাদের মতামত গণমাধ্যমে পোস্ট করার জন্য আপনাদের যদি পুলিশের হয়রানির শিকার হতে হয় (আপনার প্রতিবাদের ভাষা যদি অশ্লীল না হয়) তাহলে আমি আপনাদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।’ এর পরেই তিনি লেখেন – ‘বাকস্বাধীনতা স্বাস্থ্যকর গণতন্ত্রের মেরুদণ্ড।’