জোর করে বডি হস্তান্তর করার কাগজে সই করানোর মতো ফের বিস্ফোরক অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করলেন খোদ আরজি করের নির্যাতিতা চিকিৎসকের মা। জুনিয়র চিকিৎসকদের স্বাস্থ্যভবন অভিযানে রাত 12 নাগাদ উপস্থিত হন আরজি কর হাসপাতালে ওই নির্যাতিতা মৃত মহিলা চিকিৎসকের মা-বাবা ও পরিবার ৷ তাঁরা এসে অবস্থানরত জুনিয়র চিকিৎসকদের মনোবল বাড়ান। চিকিৎসকদের আন্দোলনের পাশে থাকার বার্তা দেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আরও এক ভয়ংকর তথ্য তুলে ধরেন নির্যাতিতার মা।
নির্যাতিতার মা বলেন, “হাসপাতালে কমিশনার সোমনাথ দে আমায় জোর করে বডি হ্যান্ডওভারের সার্টিফিকেটে সই করিয়েছিলেন ৷ আমাদের হাত থেকে পুলিশের হাতে বডি চলে যাচ্ছে। ওই সময় শুধুমাত্র আমার ভাগ্না আমার পাশে ছিল। বাকি পরিবারের কাউকে ওনারা আমার সঙ্গে তখন রাখেনি। আমার ভাগ্না আমাকে অনেকবার বারণ করেছে সই করতে। কিন্তু উনারা আমাকে জোর করে সই করিয়েছেন।” এরই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমরা কোন বিভ্রান্ত হয়ে টালা থানায় যায়নি। আমার মেয়ের দেহ রেখে দেওয়ার জন্য আমরা টালা থানায় গিয়েছিলাম। তখন আমাদের 300 থেকে 800 পুলিশ ঘিরে রাখে।” অপরদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোমবার মা-বাবাকে টাকা দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। তিনি জানান, কোন প্রমাণ নেই, আমি বলেছি। যার প্রেক্ষিতে এবার এদিন রাতে নির্যাতিতার বাবা পাল্টা প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, “এটা নিকৃষ্টতম কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমার মেয়ের দেহ শোয়ানো ছিল, তার পাশে আমায় এই অফার দেওয়া হয়েছিল ৷ সেই সময় আমরা প্রমাণ রাখব কী করে ? ভিডিও করব ? উনি আগে থেকে কেন সতর্ক করলেন না, আমরা তাহলে ভিডিও করতাম। এটা নক্ক্যারজনক কথা বলেছেন। আমাদের যেভাবে হেনস্থা করা হয়েছে ওইদিন, প্রায় তিন ঘণ্টা আমাদের বসিয়ে রাখা হয়েছিল, মেয়েটাকে দেখতে দেয়নি। 10টায় খবর পেয়ে 12টা 44 মিনিট নাগাদ দেখতে দিয়েছে। এটা কতটা মর্মান্তিক।”