আর জি কর কাণ্ডে টালা থানার ওসিকে গ্রেফতার করে রবিবার আদালতে পেশ করা হয়। আদালত ৩ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন। সাধারণভাবে জানানো হয়েছে তিলোত্তমা কাণ্ডকে মোটেই খুব গুরুত্ব দিয়ে ওসি তদন্ত করেন নি। এদিন আদালতেও সেই প্রসঙ্গ টেনে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, একজন পুলিশ অফিসার হিসেবে নয়, ঘটনার একজন ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিজিৎ মণ্ডলকে।
এবার প্রশ্ন উঠেছে টালা থানার ওসির বিরুদ্ধে ঠিক কোন কোন অভিযোগ সি বি আইয়ের পক্ষ থেকে আদালতে তোলা হয়েছে? মূলত ৭টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে। যেগুলো হলো –
১) ৯ অগস্ট মহিলা ডাক্তারের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরও অভিজিৎ মণ্ডল দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন।
২) ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলতে দেরি করেন ওসি।
৩) অভিযোগ দায়েরের পরেও তখনই এফআইআর দায়ের করা হয়নি। তাতেও দেরি করেছেন ওসি।
৪) ঘটনাস্থলের প্রাথমিক ভিডিও করা হয়নি।
৫) নির্যাতিতার পরিবার ফের ময়নাতদন্তের দাবি করেছিল। তা না মেনেই দ্রুত দেহ দাহ করা হয়েছিল।
৬) ডেথ সার্টিফিকেট দিতেও দেরি করা হয়।
৭) মৃত জেনেও অভিযোগ পত্রে ‘অচৈতন্য’ লেখা হয়েছিল।
এই সবগুলো অভিযোগই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিবিআই মূলত জানতে চাইছে যে ওসির উপরে এই নিয়ে অতিরিক্ত কোনো চাপ ছিলো কিনা।