এক আশ্চর্য রোগে আক্রান্ত আমরা। একগুচ্ছ টাকা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে সমস্যার সমাধান করতে চাই। তা বিষাক্ত মদ খেয়ে মৃত্যু হোক, ধর্ষিতা নারীর জীবন যন্ত্রনা হোক বা ধর্ষণ করে খুন করা হোক। কিন্তু সত্যিই কি সবাই বিক্রি হয়! হয় না। হয়নি আর জি কর কাণ্ডের নির্যাতিতার বাবা। মমতা বন্দ্যোপধ্যায় ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে চাইলেও তা নিতে অস্বীকার করেছেন আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা। পাশাপাশি সিবিআই-এর সঙ্গে কথা বলে নিজের সন্দেহের কথা জানিয়েছেন বলে সংদাধ্যমের কাছে বললেন তিনি। নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবার সঙ্গেও দেখা করেছেন তদন্তকারীরা। এই আবহে নির্যাতিতার বাবা নাকি নিজের সন্দেহের কথা জানিয়েছেন সিবিআই-কে। মেয়ের খুন এবং নৃশংস ধর্ষণের ঘটনায় কারা জড়িত থাকতে পারে, তা নিয়ে নাকি তদন্তকারীদের কাছে মুখ খোলেন মৃত চিকিৎসকের বাবা।
ঠিক কী বলেছেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা? রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি নাকি সিবিআই-এর কাছে দাবি করেছেন, মেয়ের খুনের ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন তাঁরই সহকর্মী চিকিৎসকরা।
জানা যাচ্ছে, সিবিআইয়ের কাছে একাধিক অসংগতি কথা তুলি ধরেছেন তিনি। ডিউটিতে থাকাকালীন রাতে সাত ঘণ্টায় একবারও তাঁর মেয়েকে কেউ ডাকেনি তাঁর সহকর্মী বা হাসপাতালের কেউ, বিষয়টি অত্যন্ত সন্দেজনক লাগছে বলে সিবিআই-কে জানান বাবা। আমার এটা ভেবে আশ্চর্য লাগছে যে ভোররাত ৩টে থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত কারও ওকে প্রয়োজন হল না? এখন অনেকেই আমার প্রশ্নকে সমর্থন করছেন। আমার মেয়ে এমনিতেই হাসপাতালে সমস্যার সম্মুখীন হত। এই গোটা ডিপার্টমেন্টকেই সন্দেহ করি আমি। যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের প্রতি আমার সমর্থন আছে।’ ঘটনাসূত্রে জনা যায়, ওদিন ঘটনায় যুক্ত থাকতে পারে এমন বেশ কয়েকজন ব্যক্তির নাম তিনি জানিয়েছেন সিবিআইকে।