আর জি কর কাণ্ডের মধ্যে হারিয়ে যেতে বসেছিল বারাসতের তৃণমূল নেতার আপকর্ম। তবে শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার রাতে CID তাকে গ্রেফতার করে। অভিযোগ, এক ব্যবসায়ীর কাছে থেকে দফায় দফায় ৯ কোটি টাকা নিয়েছেন মিলন সর্দার। রয়েছে অপহরণের অভিযোগও। গ্রেফতারের পরেই তাঁকে ত্যাগ করেছে তৃণমূল। স্পষ্ট বলা হয়েছে, সমাজ বিরোধী, দল বিরোধী কার্যকলাপের জন্য তাঁকে ছেঁটে ফলে হয়েছে। বর্তমানে উত্তর চব্বিশ পরগনার ব্যবসায়ী দেবব্রত দে-কে দু’দফায় কিডন্যাপ করার অভিযোগ রয়েছে মিলনের বিরুদ্ধে। একসময় ত্রিপুরায় থাকতেন দেবব্রত। মোটা অঙ্কের মুক্তিপণের জন্যই তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এর পরেই তার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে এলাকার মানুষ ও ব্যবসায়ী সমিতি।
জানা যাচ্ছে, এই মিলনের চক্রন্তে বারাসতে আটকে রাখা হয়েছিল খড়দা থানা এলাকার ওই ব্যবসায়ীকে। বৃহস্পতিবার বারাসাত থেকে মিলন সর্দারকে গ্রেফতার করে সিআইডি। একেবারে তাঁর বাড়ির এলাকা থেকেই তুলে নিয়ে যান তদন্তকারী অফিসাররা। তৃণমূল অবশ্য মিলন সর্দারকে বহিস্কার করে দায় এড়াতে চাইছেন। বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার মিলন গ্রেফতার হওয়ার পরে তাকে দল থেকে বহিস্কারের কথা ঘোষণা করেন।