সাধারণভাবে যেকোনো পুজো উদ্বোধনে এসে সেই পুজো ও পুজোর ধৰ্মীয় আচারানুষ্ঠান নিয়ে উদ্বোধক আলোচনা করেন। সঙ্গে আসে নানা সামাজিক কাজের কথাও। তবে সাধারণভাবে পুজো উদ্বোধনে রাজনীতির আলোচনা বিশেষ হয় না ও তা কাম্য নয়। কিন্তু সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি হলেন না সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অমরা জানি, কয়েকদিন আগে ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মেজাজ হারিয়েছিলেন। পরে দেখা যায় টেবিলে একটা ভাঙ্গা কাঁচের বোতল। আর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত কেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গাঙ্গুলি অভিযোগ করেছিলেন, তাকে উদ্দেশ্য করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কাঁচের বোতল ছুড়তে চেয়েছিলেন। সেই বিষয় নিয়েই এদিন মুখ খোলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন,তিনি বোতল ছোড়েননি। শুধুমাত্র বোতল ঠুকেছিলেন। তাঁর নিশানা একদম ‘পারফেক্ট’ হয়। মঙ্গলবার ডানকুনির কালিপুর চৌমাথা অধিবাসীবৃন্দের শ্যামাপুজোর উদ্বোধনে পৌঁছন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই সেই ঘটনার প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। কল্যাণের বক্তব্য, “এক কংগ্রেস এমপি-র সঙ্গে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। সেই সময় ওঁকে প্রশ্ন করি কেন এত চিৎকার করছেন? প্রশ্ন করা মাত্রই আমার মা,বাবা,স্ত্রী-কে নিয়ে গালিগালাজ করেন করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রতিবাদ করলে মারতে উদ্যত হন তিনি। বলেন তোকে মারব, তোকে মারব। একজন বিচারপতির কী ভাষা!” তারপরেই বেশ গর্বের সঙ্গে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে বোতল ছোড়ার। আমি বোতল ছুরিনি ।আমার নিশানা পারফেক্ট হয়।” এর পরেই সেই পুজো উদ্বোধন অনুষ্ঠানেই অভিজিৎ গাঙ্গুলির যোগ্যতা নিয়ে তীব্র ব্যঙ্গ ও শ্লেষ ছুড়ে দেন। তিনি বলেন, ওর কোনো যোগ্যতা নেই। “ওঁর দুই বন্ধু একসময় হাইকোর্টের জজ ছিলেন। তাই উনিও জজ হয়েছিলেন।” এর মধ্য দিয়ে অবশ্য আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলে দিলেন যে, হাইকোর্টের প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ হয়। এই কথায় স্বাভাবিক কারণেই স্তম্ভিত নাগরিক মহল।