সোমবার আদালতে পেশ হতে চলেছে সঞ্জয় রাইয়ের বিরুদ্ধে সংগ্রহ করা আরও কিছু নথি।
অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইয়ের বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স হাতে পেয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, সঞ্জয় রাইয়ের বিরুদ্ধে পাওয়া এই ‘বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স’ই হল আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীরে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় বড় একটি ‘অস্ত্র’। এই প্রমাণের ভিত্তিতে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা আগামি দিনে এই ঘটনার বিচারপর্ব এগিয়ে নিয়ে যাবেন। সূত্রের খবর, ৫১ জন সাক্ষীকেও আদালতে পেশ করবে সিবিআই। ঘটনার ৮৭ দিন এবং সিবিআইয়ের চার্জশিট পেশের ২৮ দিনের মাথায় ওই মামলায় চার্জ গঠন সম্পন্ন হয়েছে। এবার শুরু হতে চলেছে বিচারপ্রক্রিয়া। আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, আগামী ১১ নভেম্বর থেকে ওই মামলায় শুনানি শুরু হতে চলেছে। শুনানি চলবে রোজ। সারা বঙ্গবাসী অধীর আগ্রহে তাকিয়ে সেই দিকে।
CBI এর তদন্তের গতি নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। সিবিআই সূত্রে খবর, বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স থেকেই জানা গিয়েছে যে, আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাই একমাত্র অভিযুক্ত। শিয়ালদহ আদালতে সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে পেশ হওয়া চার্জশিটের একেবারে উপরে সাক্ষীর তালিকায় রয়েছে নির্যাতিতার পরিবার ও পরিচিতদের নাম ৷ তাই বিচারপর্বের শুরুর দিকে আদালত তাঁদের ডাকতে পারে। যদিও সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, প্রাথমিক চার্জশিটের ভিত্তিতে আপাতত বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত একজনের নামেই চার্জশিট গঠন হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং প্ররোচনার অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও তদন্ত চলছে। ঘটনার পরেই টালা থানার তৎকালীন ওসিকে ফোন করেছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সে সবও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, এবার সন্দীপ ও অভিজিতের বিরুদ্ধেও চার্জশিট দিতে চলেছে সিবিআই। শেষ পর্যন্ত ঘটনা প্রবাহ কোন দিকে যায়, সেই দিকে সবার নজর আছে।