আর জি কর কান্ড নিয়ে গত ১৫ দিন ধরে উত্তাল বাংলা। উত্তাল চিকিৎসক মহল। নানা প্রশ্ন ঘুরে ফিরে সামনে আসছে। অথচ তদন্তের গতি অনেকটাই শ্লোথ বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার সামনে আসে চিকিৎসায় ‘উত্তরবঙ্গ লবি’ শব্দটি। আরজি কর কাণ্ডের জেরে বেআব্রু রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা ব্যবস্থা। ক্ষোভে ফুঁসছে বাংলার চিকিৎসক মহল। কেঁচো খুঁড়তেই বেরিয়ে পড়েছে কেউটে। স্বাস্থ্য দফতরের নানা অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে। এরই মধ্যে চর্চায় ‘উত্তরবঙ্গ লবি’। জানা যাচ্ছে, সেই লবি গোটা স্বাস্থ্য দপ্তরকে নিয়ন্ত্রণ করে। শনিবার মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ও জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেও উঠে এল উত্তরবঙ্গ লবির কারসাজির অভিযোগ। IMA র পক্ষ থেকে স্পষ্ট অভিযোগ করা হয়েছে, ৯ আগস্ট মহিলা চিকিৎসকের হত্যার কয়েক ঘণ্টা পর কেন সেখানে উত্তরবঙ্গের প্রভাবশালী চিকিৎসক সুশান্ত রায়কে দেখা গিয়েছিল? আরজি করের চিকিৎসক না হওয়া সত্ত্বেও কার নির্দেশে তথাকথিত উত্তরবঙ্গ লবির কয়েকজন পৌঁছে যান সেখানে? তিলোত্তমার পরিবারের পাশে না থেকে কেন সেদিন রাত পর্যন্ত তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘরে বৈঠকে বসেন উত্তরবঙ্গ লবির চিকিৎসকেরা? প্রশ্ন আছে, উত্তর এখনও নেই।
সবটা মিলিয়ে এখন সামনে আসছে একটা বেশ বড়ো ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত। যদিও ডাঃ সুশান্ত রায় জানান প্রশাসকের নির্দেশে তিনি গিয়েছিলেন। কিন্তু কোন প্রশাক? তার কোনো উত্তর তিনি দেন নি। ফলে সন্দেহ আরো ঘনীভূত হচ্ছে। চিকিৎসক উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এখানে এমন কিছু চরিত্র উপস্থিত ছিলেন যাঁরা সরকারি কোনও পদে নেই, আরজি করের সঙ্গে যুক্তও নন। তাঁদের সঙ্গে স্বাস্থ্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তা, কলকাতা পুলিশের সর্বোচ্চ কর্তা এখানে উপস্থিত ছিলেন।” শনিবার IMA র পক্ষ থেকে প্রেস বিজজ্ঞপ্তিতে কয়েকজন চিকিৎসকের নাম উল্লেখ করে তাঁদের ভূমিকা খতিয়ে দেখার আবেদন করা হয়েছে। ডাক্তার সন্দীপ ঘোষ, ডাক্তার সুহৃতা পালও ‘উত্তরবঙ্গ লবির’ ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ। ঘটনার দিন তদন্তকে ভুল পথে চালিত করা, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করার অভিযোগ যাঁদের বিরুদ্ধে উঠছে তাঁদের তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। এখন দেখার যে CBI এবার কোন পথে যায়!