স্বাধীনতার পর থেকে বাংলায় কোনো ধর্মান্ধাতা ছিল না। হিন্দু, মুসলমান একে অপরের বন্ধু ও আত্মীয় হয়েই থাকতেন। কিন্তু গত কয়েক বছরে সেই ধর্ম-নিরপেক্ষতার সুতো গেছে ছিঁড়ে। ফলে বাংলায় শুরু হয়েছে মন্দির মসজিদ খেলা। ঠিক এক বছর আগের ২২ জানুয়ারি, সরযূর তীরে উৎসবের আবহে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন নরেন্দ্র মোদি। বছর ঘুরতেই গেরুয়া শিবিরের নজরে রাম মন্দির। মুর্শিদাবাদের অলঙ্কার গ্রামে প্রায় ২ বিঘা জমির ওপর তৈরি হবে রাম-মন্দির। বুধবার সাগরদিঘিতে হল ভূমিপুজো। অন্যদিকে রাম মন্দির তৈরির বর্ষপূর্তিতে বুধবার নন্দীগ্রামের ঠাকুরচক থেকে রেয়াপাড়া শিবমন্দির পর্যন্ত শোভাযাত্রা করেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তার পরেই তাঁর নতুন মন্দিরের ঘোষণা।
এপ্রিল মাসে দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। পিছিয়ে থাকতে রাজি না বিজেপি। তাই তাদের চাই রামমন্দির। শুভেন্দু বুধবার ঘোষণা করেন, নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় তৈরি হবে রামন্দির। ৬ এপ্রিল হবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। তিনি বলেন, “সোনাচূড়াতে একটি জায়গা আমাদের আছে। আড়াই বিঘা মতো, আমরা সেখানে একটি স্থায়ী রাম মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা করেছি। আগামী ৬ এপ্রিল, রামনবমী দিন, সেখানে ভিত পুজোর মধ্যে দিয়ে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হবে, যা এক বছরের মধ্যে আমি আশা করি সম্পূর্ণ করতে পারব।” সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। এই মুহূর্তে মন্দির আর মসজিদে যদি ভোটারদের ভুলিয়ে রাখা যায়, তাহলে ভালোই হবে তাদের।