এ রাজ্যে যেকোনো রকম ‘ঘোষণা’ সাধারণভাবে মুখ্যমন্ত্রী করেন। সেই সুযোগ কখনো মন্ত্রী বা আধিকারিক পান না। তবে এবার সুযোগ এসে গেলো উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কাছে। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে ‘রাত্তিরের সাথী’-প্রকল্পে প্রশাসনের তরফে সমস্ত মহিলাদের নিরাপত্তায় ১০টি পয়েন্টের কথা উল্লেখ করা হয়। প্রসঙ্গত আর জি কর কাণ্ডে এক রকম ল্যাজে-গোবড়ে হয়েছে রাজ্য সরকার। সর্বস্তর থেকে উঠেছে প্রতিবাদ। প্রতিবাদের পথে নেমেছে শাসক, বিরোধী সকলেই। ঠিক এই সময় শনিবার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় নারী সুরক্ষার নতুন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন। তাঁর ঘোষণাকে বিরোধীরা অনেকে ‘নাটক’ বললেও, সেই ঘোষণার মধ্যে আছে বেশ কিছু অভিনবত্ব।
তিনি ঘোষণা করেন –
* হাসপাতাল, জেলা হাসপাতালগুলিতে নির্দিষ্ট, চিহ্নিত বিশ্রামঘর সঙ্গে শৌচালয় থাকবে।
* রাত্তিরের সাথী নামে পুলিশের সঙ্গে মহিলা সিকিউরিটি ফোর্স থাকবে।
* সিসিটিভি এবং মনিটরিং করে সেফ জোন তৈরি করতে হবে।
* সমস্ত মহিলাদের এই অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। যাতে থাকবে অ্যালার্ম ডিভাইস, যা স্থানীয় থানা এবং কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করার ব্যবস্থা।
* বিপদে পড়লে হেল্পলাইন নম্বর ১০০/ ১১২-এ কল করতে হবে।
* হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজগুলিতে ঢোকা প্রত্যেকেরই শ্বাস পরীক্ষা করা হবে। অর্থাৎ কেউ মদ্যপ অবস্থায় রয়েছেন কিনা, তা দেখা হবে।
* সমস্ত কর্মস্থলে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে বিশাখা কমিটি গঠন করতে হবে।
* সমস্ত সরকারি কর্ম প্রতিষ্ঠানে এই ব্যবস্থা নিতে হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিকেও যথাসম্ভব এই নিয়মগুলি মেনে চলার আর্জি করা হয়।
* একা নয়, রাতে মহিলাদের দলবদ্ধ অথবা জোড়ায় কাজ করতে হবে। কে কোথায় যাচ্ছেন তা সহকর্মীরা জানবেন।
* বে সরকারি সংস্থাগুলোকে এই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
এর মধ্য দিয়ে নারী নির্যাতন কমবে কিনা বলা যাচ্ছে না, তবে এই উদ্যোগকে সকলেই স্বাগত জানিয়েছেন।