মঙ্গলবার সাত সকালেই কলকাতা ও হাওড়া প্রায় মুড়ে ফেলা হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তায়। ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামে কোনো এক অজানা সংগঠন হঠাৎ করে আজ নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তার জন্য পুলিশের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয় নি। তবুও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাওড়ার মঙ্গলাহাট বন্ধ রাখারও নির্দেশ দিয়েছে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট। পাইকারি বা খুচরো সব ধরনের কেনাবেচা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যবসার ভরা মরসুমে একদিনে বিপুল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই অভিযানের জন্য ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা।
লাল বাজার সূত্রে জানা যাচ্ছে, আজ ৬ হাজার বাহিনী থাকছে। ১৯টি পয়েন্টে থাকছে ব্যারিকেড। পরিস্থিতি বুঝে বন্ধ হতে পারে দ্বিতীয় হুগলি সেতু। থাকবেন ২৬ জন ডিসি। সকাল ৮টা থেকেই পুলিশ নেমে পড়েছে রাস্তায়। জলকামান, টিয়ার গ্যাসেরও প্রস্তুতি থাকছে। বিদ্যাসাগর সেতুর দু’পাশে অর্থাৎ কলকাতা ও হাওড়া দুই দিকেই ব্যারিকেড থাকবে। এই নবান্ন অভিযান ঘিরে সোমবার দফায় দফায় সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা। এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার, এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজকুমার ভার্মারা জানিয়েছেন, এই অভিযানে মহিলা ও পড়ুয়াদের সামনে রেখে অশান্তির ছক কষেছে একাংশ। পুলিশ সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এখন দেখার পরিস্থিতি কোন দিকে যায়।