বুধবার সকাল থেকেই বনধকে কেন্দ্রে করে বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যাপক গন্ডগোলের খবর আসছে। উত্তরবঙ্গে দুজন বিধায়ক সহ বহু বিজেপি কর্মীকে পুলিশ আটক করে। এদিকে বারাসাতে শুরু হয়েছে দুপক্ষের হাতাহাতি। বারাসতে গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ। অন্যদিকে, ট্রেন অবরোধও করে রেখেছে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। বারাসাত স্টেশনে মুখোমুখি বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক দলের দাবি কোনওভাবেই ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা যাবে না। এদিকে বিজেপি কর্মীরা লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিন বেয়ে উঠে পড়েন, যাতে ট্রেন চলতে না পারে। স্বাভাবিক কারণেই তৃণমূল এর প্রতিবাদ শুরু করে। তর্ক থেকে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়।
সকালেই বনধ পালন ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় বারাসতের চাপাডালি মোড়ে। দোকানিদের জোর করে দোকান বন্ধ করিয়ে দেওয়া হয়। গাড়িও আটক করে ভাঙচুর চালায় বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, একাধিক বাস-ট্রাকের চাবি কেড়ে নিয়েছে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। এর জেরে মাঝ রাস্তাতেই আটকে পড়েছে বাস-ট্রাক। বিপর্যস্ত যান চলাচল। চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ।
অন্যদিকে, বারাসাত রেল স্টেশনেও ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। বারাসাত রেল স্টেশনে ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপির রেল অবরোধের মাঝেই কাউন্সিলর দেবব্রত দাসের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি মিছিলও এসে পৌঁছায়। তাদের দাবি, ট্রেন সচল রাখতে হবে। চলছে দুপক্ষের শ্লোগান। বিশাল পুলিশ বাহিনী উপস্থিত হয়েছে।