আর জি করের মূল অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করছে CBI. কিন্তু সেই ঘটনা নিয়ে বাংলায় উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে স্বাভাবিক কারণেই দেখার দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের। এবার সেই প্রশ্নই উঠে পড়ে লেগেছে লাল বাজার। শনিবার দুজন বাম নেতাকে লালবাজারে নিয়ে গেছে পুলিশ। এর মধ্যেই ডাক পড়েছে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। যদিও লকেট জানিয়েছেন, লালবাজার থেকে কোনও চিঠি এখনও তাঁর কাছে পৌঁছয়নি। এর মধ্যেই সমাজ মাধ্যমে প্রচুর ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়েছে। তা নিয়ে নাস্তা নাবুদ পুলিশ। এই নিয়ে বার বার সতর্ক করেছে লাল বাজার।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কোনো নির্যাতিতার নাম ঘোষণা বা ছবি প্রকাশ করা যায় না। কিন্তু সমাজ মাধ্যমে তা প্রকাশিত হয়ে গেছে।
লকেটও প্রথমে এক বার তা প্রকাশ করেছিলেন। তার জেরেই তাঁকে লালবাজারে ডাকা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে লকেট অবশ্য যথেষ্ট উস্মা প্রকাশ করে বলেন, “প্রথমে এক বার আমি ভুল করে নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডল (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট করে ফেলেছিলাম। কিন্তু তার পর ভুল বুঝতে পেরে সেই পোস্ট মুছে দিয়েছি।” এর পরেই তিনি অভিযোগ করেন, “হুগলির সাংসদ যে সমাজমাধ্যমে কেঁদেকেটে নাটক করে নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করছেন, তিনি কি পুলিশের নোটিস পেলেন? না কি তাঁর কথা শুনতেই পায়নি পুলিশ?”এ ছাড়া, গত ১৪ অগস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতাল চত্বরে মেয়েদের ‘রাত দখল’ কর্মসূচির সময় হামলার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কেও।